ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে উপড়ে গেছে বিদ্যালয় ভবনের টিনের চাল। খোলা আকাশের নিচেই চলছে পাঠদান। শিক্ষার্থীদের মনে বিরাজ করছে আতঙ্ক। কখন আবার ঘূর্ণিঝড়ের থাবায় বিদ্যালয়ের বাকী অংশটুকু ধ্বসে পড়ে।
সরেজমিনে গিয়ে এমনিই দৃশ্য দেখা যায় পানছড়ি উপজেলার ২নং চেংগী ইউপির বড় কলক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসাইন জানান, বিদ্যালয়ের চার কক্ষ বিশিষ্ট পুরাতন পাকা ভবনটির একটিতে অফিস কক্ষ, একটি প্রাক প্রাথমিক বাকী দুটি শ্রেণী কক্ষ। শ্রেণীকক্ষের সংকুলানের কারণে এলজিইডি থেকে ২০২১ সালে একটি পাকা টিন সেড শ্রেণীকক্ষ ও বিশ্রামাগার নির্মান করে দেয়া হয়।
রবিবার (২’এপ্রিল) দিবাগত রাতে ঘূর্ণিঝড়ে ২০২১ সালে এলজিইডির নির্মিত সেড দুটির চাল দুমড়ে- মুচড়ে উড়িয়ে নিয়ে যায়। তাই ৩’এপ্রিল ৫ম শ্রেণীর পাঠদান খোলা আকাশের নিচে নিতেই হচ্ছে।
৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সততা, বৈশাখি ও ত্রয়া চাকমা জানায়, বিদ্যালয়ের চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে তাই আমরা খোলা আকাশের নিচেই ক্লাস করছি।
পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবাইয়া আফরোজ জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে সরেজমিনে গিয়ে দেখার জন্য বলেছি। তাছাড়া ব্যাপারটি আন্তরিকতার সহিত দেখা হবে।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সঞ্চয়ন চাকমা জানান, আমি ঘটনাস্থলে এসে সব দেখেছি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে আবেদন দিতে বলেছি। আবেদনটা পেলেই জরুরী ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হবে।
ঘূর্নিঝড়ে চেংগী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চেংগী সারিবালা কলেজেও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
নিউজটি ভিডিওতে দেখুন:
