parbattanews

পানছড়িতে জেএসসির ফলাফল বিপর্যয় হলেও মাদ্রাসায় শতভাগ পাশের সাফল্য

 

উপজেলা প্রতিনিধি, পানছড়ি :

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয় ঘটেছে। ফলে অভিভাবকমহলের মাঝে দেখা দিচ্ছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশের সাথে যেমনি উল্লাস ও বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দের জোয়ার লক্ষ্য করা গেছে, কিন্তু তার উল্টোটি পরিলক্ষিত হয়েছে জেলার পানছড়ি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। তবে পানছড়িতে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় সাফল্য এসেছে শতভাগ। তাই পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা এলাকার চিত্র ছিল অন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ভিন্ন রকমের।

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, পানছড়ি উপজেলায় ৮৮৬ জন পরীক্ষার্থীর মাঝে কৃতকার্য হয়েছে ৬১১জন। তার মাঝে জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ২ জন এই দু’ভাগ্যবান পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ইকু চাকমা ও সোলেমান শাহীন। পানছড়ির ফলাফল নিয়ে অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে অনেকেই জানালেন উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জিপিএ-৫ খরায় ভুগছে।

এদিকে পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসায় ৪০ জন পরীক্ষা দিয়ে সবাই কতৃকার্য হয়েছে। তার মাঝে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭ জন। এই সাফল্য নিয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো: বাহার জানালেন, শিক্ষকদের আন্তরিকতা ও অভিভাবকদের সচেতনতার ফলে এ সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: মুহাম্মদ জাকির হোসাইন এ প্রতিবেদককে জানান, প্রতি বছরই অত্র মাদ্রাসাটি ভালো ফলাফল করে আসছে। মাদ্রাসার শিক্ষক, পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকদের আন্তুরিকতার ফলেই এই ধারাবাহিক সাফল্য আসছে।

অপরদিকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতি বছর অর্থনৈতিক সুযোগ দিয়ে গ্রামার, ব্যাকরণ ও বিভিন্ন গল্পের বই পাঠ্য করানো নিয়ে ব্যস্ত থাকে এক ধরনের দুষ্ট চক্র। নিম্ন মানের গ্রামার, ব্যাকরণ ক্রয়ের জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের হাতে টোকেন ও বিভিন্ন রকমের চাপও প্রয়োগ করা হয়। এই ধরনের নিম্নমানের বই পাঠ করাও ফলাফল বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ বলে অনেক অভিভাবক মত প্রকাশ করছেন।

Exit mobile version