parbattanews

পানছড়িতে ডিগ্রী পড়ুয়া চার বান্ধবী গড়ে তুলেছে মোমবাতি কারখানা

পানছড়ি যৌথ খামার এলাকার ম্রাচাইন্দা মারমা, ডলিপ্রু মারমা, ম্রাচিং মারমা ও চেউং মারমা সবাই পানছড়ি ডিগ্রী কলেজে অনার্স ও ডিগ্রীর শিক্ষার্থী। বছর খানেক আগে পানছড়ি মহিলা অধিদপ্তরের মাধ্যমে তারা মোমবাতি বানানোর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। ত্রৈমাসিক প্রশিক্ষণে রপ্ত করে নেয় মোমবাতি বানানোর নানান কৌশলাদি।

নিজস্ব কোন ঘর না থাকায় প্রশিক্ষণ শেষে ইসলামপুর এলাকায় একটি টিনসেড ঘর ভাড়া নেয় তারা। বে-সরকারি এনজিও সংস্থা আশা থেকে আশি হাজার টাকা ঋণ নিয়েই শুরু করে মোমবাতি বানানোর কাজ। পুরনো ৮টি মেশিন ক্রয়ের মাধ্যমেই শুরু হয় তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম। এর  নামকরণ হয় মৈত্রীর আলো ফোর ক্যান্ডেল ওয়ার্কস। উপজেলার লোগাং, পূজগাং, পানছড়ি বাজার ও কুড়াদিয়াছড়া এলাকায় বর্তমানে তারা বিভিন্ন সাইজের মোমবাতি সরবরাহ করছে।

তবে বড় সাইজের মোমবাতির চাহিদা বেশি। কিন্তু মেশিন কেনার মতো অর্থ না থাকার কারণে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। তাছাড়া মোমবাতির পাশাপাশি আগরবাতির চাহিদাও প্রচুর। বিদ্যুৎ সমস্যা, ডাইস সমস্যা, কাঁচা ফ্লোরে বসে কাজ করাসহ নানান সমস্যায় জর্জরিত। তাছাড়া ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ করলে কাজের অগ্রগতি ও মানসম্পন্ন মোমবাতি বাজারজাত করা যেতো বলে জানায়। বর্তমানে তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় সাড়ে সতেরশ টাকা সমিতির কিস্তি চালাচ্ছে। তাদের প্রতিষ্ঠানে ২জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।

এবারের জয়িতা অন্বেষণে অর্থনৈতিক সাফল্য অর্জনকারী ক্যাটাগরিতে উপজেলা পর্যায়ে ম্রাচাইন্দা মারমাকে সর্বশ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মানে ভূষিত করা হয়েছে। তাদের একটাই দাবি পরিকল্পনা আছে কিন্তু পুঁজি নাই। পানছড়ি বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী শুভাষ চৌধুরী জানান, বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যাপারে তাদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। এরি মাঝে আবেদন করার জন্য তাদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

পানছড়ি উপজেলা মহিলা বির্ষক কর্মকর্তা মনিকা বড়ুয়া জানান, তাদের কারখানায় গিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দেখে অবাক হয়েছি। এতো সুন্দর গোছালো কারখানাটি সত্যি দেখার মতো। মহিলা অধিদপ্তর থেকে তাদের ঋণ দেয়ার ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা রয়েছে। আশা রাখছি তারা আবেদন করলেই তা বাস্তবায়ন করা হবে। তবে তাদের বেশ মনোবল আছে এবং তারা যথেষ্ট পরিশ্রমী বলে তিনি জানালেন।

Exit mobile version