parbattanews

পানছড়িতে ড্রাগন চাষে বাজিমাত

পানছড়ি উপজেলার শান্তিপুর এলাকায় বাঁশবাগানে ঘেরা নিজস্ব প্রায় ৪০ শতক জায়গায় ড্রাগনের পাশাপাশি পেঁপের বাগান সাজিয়েছে পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক অনুপ দত্ত তালুকদার। ইউটিউবে শাইখ সিরাজের চায়না প্রতিবেদন দেখেই আগ্রহ পেয়ে কাজ শুরু করেন। বর্তমানে প্রায় ৭০০ শতাধিক গাছ থেকে আড়াই লক্ষাধিক টাকার ফল বাজারজাত করা হয়েছে। আরো লক্ষাধিক টাকার ফল বাজারজাতের অপেক্ষায়। পূঁজি তুলে তিনি এখন আশার আলো দেখছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাগানে ড্রাগন ঝুলে থাকার দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য আর পেঁপেসহ একপায়ে দাড়িয়ে সারিবদ্ধ পেঁপেগাছ। অনুপ দত্ত তালুকদার জানান, প্রায় দেড় বছর আগে আট শতাধিক চারা দিয়েই বাগানের কাজ শুরু হয়। লকডাউনের বন্ধে পুরো সময়টাতেই বাগান সাজাচ্ছেন মনের মতো করে।

বর্তমানে প্রায় ৭০০ শতাধিক গাছের ফল বাজারজাত হচ্ছে। ফুল থেকে ফল হতে সময় লাগে প্রায় দেড় মাস। দু’জাতের ফল রয়েছে বাগানে যার মাঝে একটির ভিতরে ম্যাজেন্ডা লাল অন্যটির ভিতর সাদা। বাজারে প্রতি কেজির মূল্য ৪০০ শত টাকা। দুটো বা তিনটায় এক কেজি হয়। পাশাপাশি হাজারেরও অধিক ড্রাগনের চারা এরই মাঝে বাজারজাতের জন্য তৈরি। প্রতি চারার মূল্য ২৫ থেকে ৩০ টাকা। ড্রাগনের ফাঁকে ফাঁকে রয়েছে প্রায় শতাধিক পেঁপে গাছ। যা থেকে অর্ধ লক্ষাধিক টাকার পেঁপে বিক্রি করেছেন।

এদিকে বাগানের পাশের আরো ২০ শতক জায়গায় ড্রাগন চাষের
উপযোগী করে তোলা ও মাশরুম চাষের জন্যও ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। পর্যাপ্ত আলো না পেলে সামনের ৪/৫মাস হয়তো ফল দিবেনা। তবে বৈদ্যুতিক আলোর মাধ্যমে গাছে ফুল থেকে ফল ফলানোর চিন্তা-ভাবনা চলছে। তিনি জানান, ড্রাগনে মাঝে মাঝে ছত্রাক দেখা দিলে জীবানুনাশক স্প্রে করা লাগে আর পচন দেখা দিলে অপারেশন করে ডাল কেটে ফেলে দিতে হয়।

উপজেলা কৃষি অফিস থেকে সহযোগিতামূলক পরামর্শ পাওয়ার কথা জানান। উপজেলা কৃষি অফিসার আলাউদ্দিন শেখ জানান, তিনি একজন ভালো উদ্যেক্তা। প্রথম প্রথম কিছু ভুল ভ্রান্তি থাকলেও আমরা পাশে থেকে তা বুঝিয়ে দিয়েছি। বর্তমানেও পাশে থেকে নিয়মিত খোঁজ-খবর নিচ্ছি। ড্রাগন উচ্চমূল্যের ফল। তবে এটি ব্যয়বহুল চাষ হলেও লাভজনক। আগ্রহ নিয়ে কাজ করাতেই তিনি ড্রাগন চাষে বাজিমাত করেছেন। ঠিকভাবে পরিচর্যা করলে ১০/১৫ বছর একটানা ফলন হয় বলে জানান।

Exit mobile version