parbattanews

পানছড়িতে ত্রিপিটক গ্রন্থ ও সীবলী পূজা উদযাপন উপলক্ষে বিশাল শোভাযাত্রা

23

পানছড়ি প্রতিনিধি:

পানছড়ি সদর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দুরে অবস্থিত পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটির। সুজলা-সুফলা শস্য শ্যামলায় ভরা পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠা এর গহীন অরণ্যের মাঝে শিল্পীর নিপুন হাতের কারিগরি আছড়ে সজ্জিত বিভিন্ন ভবন, সুজাতার পায়েস দান ও কাঠের তৈরী বিভিন্ন কারুকাজ এক নজর দেখা মাত্রই প্রাণ জুড়ে যায়। তাছাড়া এই কুটিরে প্রবেশ মুহুর্তে চোখে পড়ে নয়নাভিরাম ৪৯ ফুট উচ্চতার দক্ষিন এশিয়ার সর্ব বৃহৎ বৌদ্ধ মূর্তি-যা মুহুর্তেই অভিভূত করবে যে কাউকে। এই বৌদ্ধ মূর্তি ও কুটিরের প্রাণবন্ত দৃশ্য উপভোগ করতে দর্শনার্থীরা দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসছে উপভোগ করতে।

এ শান্তিপুর অরণ্য কুটিরে ২৩/২৪ জানুয়ারী শুক্র ও শনিবার দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পবিত্র ত্রিপিটক গ্রন্থ ও শিবলী মহাস্থবির পূজা। এ উপলক্ষে শুক্রবার সকাল ৭টায় অরণ্য কুটির থেকে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। বিভিন্ন রঙের ব্যানার-পেষ্টুন ও ধর্মীয় পতাকায় বেষ্টিত শোভাযাত্রাটি এক নজর দেখার জন্য রাস্তার দু’ধারে জমে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড়। প্রায় পাঁচ সহ¯্রাধিক বৌদ্ধধর্মাবলস্বীদের এই শোভাযাত্রা দেখে অনেকেরই মন্তব্য পানছড়ির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রাটি অরণ্যকুটির এলাকা থেকে বের হয়ে পানছড়ি বাজার হয়ে প্রধান সড়ক বেয়ে রাবার ড্যাম এলাকা দিয়ে নিজ গন্তব্য শান্তিপুর এলাকায় গিয়ে শেষ।

্এই শোভাযাত্রায় প্রতিটি এলাকার দায়ক-দায়িকারা অংশ নেয় নিজস্ব এলাকার নামে ডিজিটাল ব্যানার নিয়ে । প্রায় ত্রিশটি ডিজিটাল ব্যানারে সজ্জিত শোভাযাত্রায় ব্যান্ড পার্টির ঢাক-ঢোলের পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা।

এই বিশালাকার শোভাযাত্রার নেতৃত্বে ছিলেন পানছড়ি শান্তিপুর অরণ্য কুটির তত্বাবধায়ক কমিটির সভাপতি সমীর দত্ত চাকমা, সাধারণ সম্পাদক অরুণ বিকাশ চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক দেব দত্ত চাকমা ও পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জ্ঞান প্রভাত তালুকদার।

শুক্রবার সকাল ছয়টায় পূজনীয় ভিক্ষু সংঘ ও শ্রামন সংঘকে পিন্ডদান এবং সকাল সাতটায় পবিত্র ত্রিপিটক গ্রন্থ পূজা পালন উপলক্ষে এলাকার ধর্মপ্রান দায়ক-দায়িকাবৃন্দের মাধ্যমে সার্বজনীন র‌্যালী দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানের সূচনা পর্ব এবং শনিবার বিকাল চারটায় পূজণীয় ভিক্ষসংঘ কর্তৃক ধর্মোপদেশ দানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটবে বলে জানা যায়।

Exit mobile version