parbattanews

পানছড়িতে প্রতিনিয়ত আগুনাতংক, আর কত বছরে স্থাপন হবে ফায়ার ব্রিগেড ষ্টেশন

পানছড়ি প্রতিনিধি:

গত এক সপ্তাহে দু’বার অগ্নিকান্ডের হলুদ সংকেত পড়েছে পানছড়ি বাজারে। রবিবার হাটের দিন হওয়াতে কোন রকম এবারের যাত্রায় রক্ষা হয়েছে। রাতের কোন সময় হলে হয়তো আবারো মরুভুমি হতো পানছড়ি বাজার। কিন্তু আগুন নির্বাপনের জন্য যে ফায়ার ব্রিগেডের দরকার তা পানছড়িতে হবে হচ্ছে বলে আজো জমি অধিগ্রহনের গ্যাড়াকলে আটকে আছে ফায়ার ব্রিগেড ষ্টেশন নির্মানের কার্যক্রম।

২০১১-২০১২ অর্থ বছরে মাটিরাঙ্গা ও ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে দিঘীনালা উপজেলায় ফায়ার ব্রিগেড ষ্টেশন স্থাপনের কাজ শুরু হলেও পানছড়ি উপজেলায় আজো জমি অধিগ্রহনের গ্যাড়াকল থেকে বের হতে পারেনি প্রশাসন। তাইতো পানছড়িবাসীর প্রশ্ন জমি অধিগ্রহন আদৌ হবে কি?

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত ২০০০ সাল থেকে শুরু করে প্রতি বছরই অগ্নিকান্ড যেন মানুষের গা-সহনীয় ঘটনায় পরিণত হয়েছে সীমান্তঘেঁষা প্রত্যন্ত পানছড়িবাসীর। এরি মাঝে কিছুদিন আগে পূজগাং দুয়ার বাজারে অগ্নিকান্ডের ঘটনা সাবধানতার সংকেত দিয়ে গেল। কিন্তু ঘটনা ঘটে গেলে উপায়হীন মানুষের নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা সর্বসাধারণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন বাহিনীর। তাই সবার দীর্ঘশ্বাস পানছড়িবাসী কবে পাবে একটি ফায়ার ব্রিগেড ষ্টেশন।

এ ব্যাপারে খাগড়াছড়ি জেলা ফায়ার ব্রিগেড ষ্টেশনের উপ-সহকারী পরিচালক তোফিকুল ইসলাম ভুইয়ার সাথে আলাপকালে জানান, তিনি নভেম্বরের ১ তারিখ খাগড়াছড়ি কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। জায়গা অধিগ্রহন নিয়ে পানছড়ির জায়গা মালিক হাইকোর্টে রিট করার ফলে কাজ শুরু করা যাচ্ছেনা। তবে বিকল্প জায়গা দেখা হচ্ছে। ফান্ডের কোন সমস্যা নেই ঢাকায় কথা বলে কিভাবে দ্রুত পানছড়িতে ফায়ার ব্রিগেড ষ্টেশন স্থাপন করা যায় সে ব্যাপারে তিনি যথেষ্ঠ আন্তরিক বলে জানান।

পানছড়ির ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের মানুষের দাবী ফায়ার ব্রিগেড ষ্টেশন স্থাপন হয়ে গেলেই এই অবহেলিত জনপদের মানুষের মনে বইবে স্বস্তির সু-বাতাস ।

Exit mobile version