পানছড়িতে বাঁশের মাচায় তরমুজ চাষে সফলতা

fec-image

পানছড়িতে বাঁশের মাচায় পরীক্ষামুলক দুই জাতের তরমুজ চাষ করে সফলতা পেয়েছে উচনু চৌধুরী।

বর্তমানে উপজেলার প্রত্যন্ত যুগলছড়ি মৌজায় বাঁশের মাচায় ঝুলছে প্রায় দুই শতাধিক তরমুজ যা সপ্তাহ খানেকের মধ্যে বাজারজাত করা যাবে। ভিতরে লাল ও হলদে রংয়ের এই তরমুজ স্বাদে আর গন্ধেও বেশ অতুলনীয়।

প্রথমবারের মতো চাষ করে শতভাগ সফলতায় খুব খুশি উচনু। সে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ক্যথোয়াই চিং চৌধুরীর সন্তান। কৃষি ডিপ্লোমা পাশ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিএ, বিএসএস ডিগ্রি অর্জন করে নিজেই একজন সফল চাষী।

উচনু চৌধুরী জানায়, উপজেলার যুগলছড়ি মৌজায় নিজস্ব আট একর জায়গায় ২০১৩ সালে ছয়শত লিচু, এক হাজার পাঁচশত আম ও পাঁচশত রাবার গাছ রোপন করে বাগান করে। দীর্ঘ চার বছর অপেক্ষার পর ২০১৭ সাল থেকে আম ও লিচুর ফলন পেতে শুরু করে।

২০২১ সাল পর্যন্ত প্রায় বিশ লক্ষাধিক টাকার মতো আয় হলেও এখনো রাবার সংগ্রহ শুরু হয়নি। আম বাগানের মাঝে এবার প্রথমবারের মতো চায়না তরমুজ চাষ করেই সফলতা আসে। অল্প খরচে দু’মাসেই এই তরমুজ বাজারজাত করে লাভবান হওয়া সম্ভব তাই আরো বড় পরিসরে চাষ করার পরিকল্পনার কথা জানায় সে।

পানছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. নাজমুল ইসলাম মজুমদার বলেন, রবি মৌসুমের হিসাব অনুয়ায়ী পানছড়িতে ১২ হেক্টর জমিতে এই হাইব্রিড তরমুজের চাষ হচ্ছে। তরমুজগুলো বেবি ও সুইট বেবি জাতের। ছোট পরিবারের জন্য এটি আদর্শ সাইজ বলে জানান তিনি।

পানছড়ির কৃষকদের সুবিধার্থে কৃষি অধিদপ্তর বারি তরমুজ ওয়ান ও বারি তরমজু টু’র বীজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। এই দুই জাতের তরমুজ বারোমাসি। প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বারি তরমুজ ওয়ান ও বারি তরমজু টু চাষের ব্যাপারে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। তিনি আশা করেন এতে কৃষকেরা বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে এবং সারা বছর তরমুজ পাওয়া যাবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন