parbattanews

পানছড়িতে বাদুড় ও দেশীয় পাখির অভয়ারণ্য

পানছড়ি প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় হাজার হাজার বাদুড় ও বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় পাখির কিচির-মিচির শব্দে মাতিয়ে রাখে সাব জোন সংলগ্ন সাঁওতাল পাড়া এলাকাটি। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত মাখা ছয় ঋতুর বার মাসই নির্বিঘ্নে এই এলাকায় বসবাস করছে এইসব প্রানিকূল।

সাব জোন লেকের পাশে বাঁশঝাড় বেষ্ঠিত আঁকা-বাঁকা লেকের দু’ধারে বিভিন্ন প্রজাতির বাদুর ছাড়াও দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির পাখিরাও নিজ আবাসস্থল হিসাবে বেছে নিয়েছে এই এলাকাটি। সাত সকালে তাদের কোলাহলে ঘুম ভাঙ্গে এলাকার মানুষের।

প্রতিদিন ভোরে বিভিন্ন গাছের মগডাল থেকে কিচির-মিচির শব্দ জানিয়ে দেয় তাদের সরব উপস্থিতি। আবার সন্ধ্যালগ্নে এক পক্ষ উড়ে আসে নিজ আবাসস্থলে অন্য পক্ষ উড়ে চলে খাবারের সন্ধানে। জানা যায়, এই স্থানটিতে দীর্ঘ বছর ধরে এই প্রাণীকুলের বসবাস। বিভিন্ন গাছে বাদুড় ঝুলছে কম হলেও বিশ বছরের অধিক সময় ধরে। হাজার হাজার বাদুড় ঝুলার দৃশ্য উপভোগে ছুটে আসে অনেক কৌতুহলীরা। বিশেষ করে স্কুল পড়ুয়া কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সুযোগ পেলেই ছুটে আসে এই অভয়ারণ্যর নান্দনিক দৃশ্য দেখতে।

পাড়া প্রতিবেশীরা জানান. বার মাস বাদুড়ের কিচির-মিচির শব্দে তারা একটুও বিরক্ত বোধ করে না। বরং তাদের নিরাপদে নিশ্চিন্তে বসবাস করতে এলাকাবাসী সদা সতর্ক বলেও জানান। অনেকে রস করে জানালেন, বাদুড় দিনে ঘুমায় আর রাতে নাইট ডিউটি করে। যার যতই ডিউটি থাকুক না কেন সাত সকালে দলবদ্ধভাবে ফিরে আসে নিজ আবাসস্থলে।

এলাকার বয়ো:বৃদ্ধরা জানান, বাদুড় নিজের চাহিদামত বাসস্থান নির্বাচন করে। উপজেলায় অনেক গহীন অরণ্য থাকলেও তারা সেখানে যায় না। ঘুরে-ফিরে সাঁওতালপাড়া এলাকাটাকেই নিরাপদ মনে করে। বাদুড় ছাড়াও এ এলাকায় ঘুঘু, শালিক, দোয়েল, মাছরাঙা, ডাহুক ও কাঠঠোঁকরাসহ নানা দেশীয় প্রজাতির পাখির বসবাস বলে মানুষ ও প্রাণীকুলের পারষ্পরিক সম্প্রীতি বন্ধনের স্থানও এই সাঁওতালপাড়া।

Exit mobile version