parbattanews

পানছড়িতে বিদ্যালয়ের ফুলের টবে টবে দৃষ্টিনন্দন পাখির বাসা

পানছড়ি উপজেলার নালকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় ঝুলানো ফুলের টবে টবে বাসা বেঁধেছে নাম না জানা অজানা পাখিরা।

জানা যায়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমর সিংহ ত্রিপুরা ২০১২ সালে যোগদানের পর বিদ্যালয় আঙিনাকে সাজিয়েছে নানান ফুলের বাগানে। বিদ্যালয়ের সামনেই রয়েছে একটি বিশালাকার কৃষ্ণচুড়া গাছ। ফাল্গুনে সবুজের মাঝে লাল কৃষ্ণচূঁড়ার উঁকি এক নজরেই দৃষ্টি কেড়ে নেয়।

তাছাড়া বিদ্যালয়ের প্রতিটি শ্রেণী কক্ষের সামনেই ফুলের টব ঝুলে থাকার দৃশ্যটিও নজরকাড়া। কিন্তু লকডাউনে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে না এলেও ছোট ছোট নাম না জানা পাখিরা ফুলের টবকে বানিয়েছে তাদের আবাসস্থল।

শৈল্পিক কারুকাজে বিভিন্ন গাছ থেকে চিকন সুতার মতো আঁশ সংগ্রহ করে তারা বানিয়ে তুলেছে আপনালয়।

সরেজমিনে গিয়ে সাতটি টবে দেখা মিলে পাখিদের বাসা। প্রতিটি বাসাতেই রয়েছে দু’থেকে পাঁচটি করে ডিম। কোন কোন বাসায় নির্ভয়ে ডিমে তা দিচ্ছে কয়েক পাখি।

কোমলমতি শিশুরা বিকেলে খেলতে এসে পাখির কাছে গেলেও তারা নির্ভয়ে অবস্থান করে নিজ বাসায়।

বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে কথা হয় ডিগ্রী পড়ুয়া সুমন চাকমা, এইচএসসি পড়ুয়া চিজিমুনি চাকমা, তুফান চাকমা’সহ তাদের সহপাঠিদের সাথে।

তারা জানায়, পাখিদের কলকাকলি খুব ভালো লাগে। তাই নিত্য ছুটে আসি পাখিদের দৃশ্য দেখতে। টবগুলো যখন দক্ষিণা হাওয়া দোল খায় তখন পাখিগুলোও ডিমে তা দিতে দিতে দোলে আর দোলে। সত্যি উপভোগ্য।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান, লকডাউনের বন্ধেই সাতটি টবে দেখতে পাই পাখির বাসা। এ নিয়ে ২য় বারের মতো প্রতিটি বাসায় ডিম দিয়েছে হয়তো সহসাই ছানা ফোটে বড় হয়ে উড়ে যাবে আপন ভূবনে।

পাখিগুলো বাসা বানানোর পর থেকেই বিদ্যালয় এলাকা সব সময় থাকে মুখরিত। মানুষ দেখলে ভয় পায়না পাখিগুলো। মানুষ আর পাখির মাঝে এমন সুন্দর বন্ধুত্ব যেন একটি রূপকথার গল্প। বিদ্যালয় খোলার পরে পাখিগুলো যাতে আগের মতো অবাধে বিচরণ করতে পারে সেদিকে সু-দৃষ্টি থাকবে।

Exit mobile version