স্টাফ রিপোর্টার:
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় রোগী রেখে পালিয়েছেন এক চক্ষু চিকিৎসক। সোমবার বেলা ১২টার দিকে পানছড়ি প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংঘের কার্যালয়ে ঘটে এ হাস্যকর ঘটনা।
জানা যায়, পানছড়ি প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংঘের কার্যালয়ে কিছু দিন পর পরই চক্ষু চিকিৎসার ক্যাম্প বসে। তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল রবিবার পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে দেয়া হয় অভিজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা চক্ষু চিকিৎসার কথা।
সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীর লম্বা লাইন দেখে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহিদ হোসেন সিদ্দিক ও অফিসার ইনচার্জ মো. আ. জব্বার চক্ষু চিকিৎসকের সামনে যাওয়া মাত্রই রোগী ও যন্ত্রপাতি ফেলে দৌড়ে পালায় চিকিৎস। চিকিৎসকের দ্রুত গতিতে দৌড়ে পালানোর দৃশ্য নিয়ে রোগীদের মুখে মুখে জমে উঠেছে মুখরোচক গল্প।
চিকিৎসকের কোনো নাম ঠিকানা না পেলেও রোগীকে দেয়া একটি ব্যবস্থাপত্রে লিখা রয়েছে চিকিৎসক মো. মজিবুর রহমান, অপটোমেট্রিস্ট, সাব এসিট্যান্ট কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার, সি সি ও, (এসইউবি) স্পেশাল ট্রেইনড আপ ইন, ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল, বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত মাথা ব্যাথা ও চক্ষু চিকিৎসক।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, প্রত্যন্ত এলাকায় ভুয়া চিকিৎসকেরা এভাবে গরীব ও নিরীহ মানুষদের ঠকিয়ে যাচ্ছে। তাদের থেকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। চিকিৎসা নিতে আসা বয়োবৃদ্ধ তালুকদারপাড়া গ্রামের নিমাই চন্দ্র শীলের স্ত্রী পার্বতী শীল জানান, আমি চক্ষু চিকিৎসককে ধরার জন্য এসেছিলাম। ভাগ্য ভালো সে পালিয়েছে। আমার অনেক টাকা সে হাতিয়ে নিয়েছে। এভাবে অনেকের অভিযোগ চিকিৎসকের দেয়া ঔষধে চোখের অবস্থার অবনতি ঘটেছে।