পানছড়িতে ভাপা পিঠা বিক্রি জমজমাট
পৌষ-মাঘ মানেই হাড় কাঁপানো শীত। আর এই শীতের মাঝেই খাগড়াছড়ির পানছড়ির বিভিন্ন পাড়ার মুখ ও প্রধান সড়কের পাশে জমে উঠে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানান ভাপা পিঠার দোকান।
খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলায় বাঙালি, চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা ও সাঁওতাল সম্প্রদায়ের বসবাস। যার ফলে এলাকার তৈরি পিঠাগুলোও ভিন্ন নামে পরিচিত। শীতে সাধারণত ভাপা পিঠা, পুলি পিঠা, পাটি সাপটা, চিতই জাতের পিঠাই বেশি তৈরি হয়। কিন্তু এ পিঠাগুলো পানছড়িতে অন্য স্বাদে অন্য নামে পরিচিত। বিশেষ করে মারমা পিঠার রয়েছে আলাদা পরিচিতি। বাজারে ভাপা পিঠা ও চিতই জাতের পিঠা দেখা গেলেও মারমা পিঠার দোকানে সব সময়েই থাকে উপচে পড়া ভীড়। পিঠাকে মারমা ভাষায় বলে “মুং”। যা সেরার মাঝে রয়েছে (হসবং মুং, রিক্রিমুং, হিল মুং, কোদ ও মুং, কদ মুং, ম্রাচা মূং ইত্যাদি
আমন ধানের চালের পিঠা ছাড়াও বিন্নি চালের পিঠার চাহিদা অত্র এলাকার মানুষের মাঝে খুবই জনপ্রিয়। বিশেষ করে বিন্নি চালের তৈরি পিঠার জুড়ি নেই। এই পিঠা তৈরির মূল কারিগর মারমা গৃহিনীরা। বিভিন্ন পাড়া, মহল্লার রাস্তার ধারে দু’পাশে দুটি ইট দিয়ে বা টিনের বাক্স দিয়ে বানানো চুলায় মুহূর্তেই তৈরি হয় এ পিঠা। গরম গরম পিঠা হালকা ফু দিয়ে খাওয়ার মজাই আলাদা।
পুরো শীতের মৌসুমেই সকাল-বিকাল দু বেলাই জমে বেচা-কেনার ধুম। পিঠার দোকানে ধনী-গরীব বলে নেই কোন ভেদাভেদ। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অর্ডার করা মাত্রই আপনার হাতে পৌঁছে যাবে পিঠা। ভ্রমণ পিপাসুরাও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে নেয় মারমা ও দেশি পিঠার স্বাদ। গরম গরম পিঠায় ফু দিয়ে বলে আহ্ কি মজা!