পানছড়ির লোগাং করল্যাছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থীকে পাঠদান দিচ্ছে মাত্র দুইজন শিক্ষক। তার মাঝে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা লাব্রেচাই মারমা দাপ্তরিক কাজ নিয়ে থাকেন ব্যস্ত। ফলে পাঁচটি শ্রেণীতে প্রায় সময় একাই পাঠদান দিচ্ছে সহকারি শিক্ষক রিপন চাকমা।
জানা যায়, প্রধান শিক্ষক জয়েশ চাকমা ৩০ এপ্রিল বদলি জনিত কারণে উগলছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে সুচিতা চাকমা যোগদান করলেও গত রমজানে তিনি এলপিআরে যান। তাছাড়া প্রাক প্রাথমিকের এ্যাপি চাকমা রয়েছে বিপিএড প্রশিক্ষণে। বছর শেষে তিনি যোগদান করলে শিক্ষক সংখ্যা তিনজন হলেও পাঠদানের সমস্যা দুর হবেনা বলে জানায় অভিভাবকেরা।
তাই অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের সুবিধার্থে শিক্ষক সংখ্যা বাড়ানোর কথা জানালেন এলাকাবাসী। এলাকার কয়েকজন জানালেন, প্রত্যন্ত এলাকায় শিক্ষকেরা আসতে চায়না। তাই এসব এলাকায় প্রায়ই শিক্ষক সংকট দেখা যায়। শিক্ষক সংকটের পাশাপাশি অত্র বিদ্যালয়টির ভবনের অবস্থাও বেশ নাজুক।
দীর্ঘ বছরের পুরনো ভবনটি কিছুদিন পর পর পূণ: মেরামত করেই কোন রকমে চালিয়ে যাচ্ছে কার্যক্রম। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি শরৎ চন্দ্র চাকমা জানান, চারজন শিক্ষকের পদ রয়েছে অত্র বিদ্যালয়ে। কর্মস্থলে আছে মাত্র দু’জন। শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য কমপক্ষে পাঁচজন শিক্ষক হলেও কোন রকম চলে। শিক্ষকের পদসংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক দেয়ার জন্য প্রশাসনের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন তিনি।
পানছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সুজিত মিত্র চাকমা জানান, উপজেলার কয়েকটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকট রয়েছে। নতুনভাবে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হলে হয়তো এ সমস্যার সমাধান হবে।