parbattanews

পানছড়িতে সরকারি রাস্তার উপর পুকুরের বাঁধ

শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় পানছড়ি-জিয়ানগর ইট সলিং রাস্তার উপর পুকুরের বাঁধ নির্মাণ করেছে এলাকার এক প্রভাবশালী। আর গত দুই দিনের প্রবল বর্ষণে বাঁধ ভেঙ্গে সরকারী সড়কের ইট ও মাটিসহ প্রায় ৩০ ফুটের অধিক রাস্তা উপড়ে নিয়েছে পানির শ্রোতে। সরকারি এই সড়কের উপর বাঁধ নির্মাণকালে প্রশাসন কর্তৃক কোন বাঁধা না আসায় এলাকাবাসী হতাশ। যার ফলে এই সড়কটি যে কোন মুহূর্তে বিলীন হওয়ার সম্ভবনায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাবাসী ও চলাচলকারীদের মধ্যে। অথচ এই সড়ক ৫নং উল্টাছড়ি ইউপির জিয়ানগর, আলী নগর, মুসলিমনগর, ওমরপুর ও রসুলপুরসহ গ্রামের লোকজনের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম।

সরেজমিনে দেখা যায়, জিয়ানগর পুলিশ পোস্টের সামনে সরকারি রাস্তার উপরেই পুকুরের বাঁধ। এই বাঁধের মালিক জিয়ানগর গ্রামের মৃত আবদুছ ছামাদের ছেলে হোসেন আলী। গত ৩/৪ বছর যাবৎ বাঁধের পানিতে সারাবছর রাস্তাটি শ্যাঁতশ্যাঁতে অবস্থা বিরাজ করে আসছে বলে জানায় এলাকাবাসী। তাছাড়া এই জায়গায় এসে অনেক বিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী, মোটরসাইকেলবাহী ও পায়ে হেঁটে চলাচলকারীরাও কর্দমাক্ত পানিতে কাপড়-চোপড় নষ্ট করে বলে জানা যায়। সরকারি রাস্তায় নির্মিত কালভাটে সে নিজের মনগড়ামত সময় বাঁধ দিয়ে পানি ছাড়ে ও বন্ধ করে এবং শুকনো মৌসুমে এই পানি ধান্য জমিন মালিকদের মাঝে বিক্রিও করে বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে জানায়। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়না। উচ্চ পর্যায়ের কোন প্রতিবাদ আসলেও তার পুকুরের ৮/১০ কেজি: ওজনের মাছ দিয়ে ম্যানেজ করে নেয় উপরের মহলকে।

এ ব্যাপারে ৫নং উল্টাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সুব্রত চাকমা জানান, সরকারি রাস্তার উপর বাঁধ নির্মাণ না করার জন্য তাকে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু সে নিষেধ না শুনে নিজ মনগড়ামতে সরকারি রাস্তার উপর বাঁধ নির্মাণ করা ঠিক হয়নি।

সরকারী রাস্তার উপর পুকুরের বাঁধ নির্মাণের ব্যাপারে হোসেন আলীর কাছে জানতে চাইলে সে জানায়, আমার লেবার কাজ করছে। রাস্তা আবার আগের মত তৈরী করে দেব।

কিন্তু দেখা গেছে রাস্তাটি কোন রকম পুরনো ইট দিয়ে বসানো হচ্ছে। নিচের মাটি সরে গেলেও নরম মাটিতেই কাজ করছে ২/৩ জন অদক্ষ শ্রমিক। রাস্তা দিয়ে চলাচলকারীদের দাবী সরকারী কালভার্ট বন্ধ করা সম্পূণ বে-আইনি। এই কালভার্ট বন্ধের ফলেই পুকুরের পানি উপচে সারাবছর রাস্তাটি থাকে কর্দমাক্ত। কালভার্টটি উম্মুক্ত ও পুকুরের বাঁধ সহসাই অপসারণ না করলে জনচলাচলের একমাত্র সড়কটি যে কোন মুহূর্তে আবারও ধ্বসে পড়তে পারে বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।

Exit mobile version