পানছড়ির এক সৌখিন কৃষক সোহেল রানা
শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি, খাগড়াছড়ি :
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য যে মাত্র পাঁচ মাস বয়সী গাছে ফল এসেছে। বিশ্বস্থ সূত্রে খবর পেয়ে সরেজমিনে দেখা যায়, আসলে অবিশ্বাস্য নয়, বাস্তব সত্য ঘটনা। মাত্র ৪ থেকে ৫ মাস বয়সী গাছে ঝুলছে শত শত পেঁপে। যা দেখে মনে হবে যেন এক রুপকথার পেঁপে বাগান। শুধু পেঁপে নয় বিশালাকার এলাকা জুড়ে বিভিন্ন মিশ্র ফলজ বাগানের সারি সারি নয়নাভিরাম দৃশ্য যেন মুহুর্তেই মন-প্রাণ দুটোই কেড়ে নেয়।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নির্বান কুমার চাকমার সহযোগিতায় খুঁজে পাওয়া যায় বাগান মালিক সোহেল রানাকে। উপজেলার ৫নং উল্টাছড়ি ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন মেম্বারের বড় ছেলে সোহেল রানা। তার সাথে আলাপকালে জানা যায়, নিজস্ব দুই একর জায়গায় সাতশত পেঁপে, একশত ত্রিশ টি আম্রফালী, চল্লিশটি লটকন, একশত চল্লিশটি লিচু, কমলা-মাল্টা বিশটি, পেয়ারা আশিটি, ষাটটি লেবু ও ষাটটি কলা চারা রোপন করে বাগান সৃজণ করেছেন। বাগানের বয়স পাঁচ মাস হলেও পেঁপে গাছে ফল এসেছে এবং প্রায় দেড় হাজার পেঁপে বিক্রি করার উপযোগী হয়েছে বলে জানান।
সোহেল রানা আরো জানায়, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নির্বান কুমার চাকমার সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শে সে বাগানটি সৃজণ করেছে। এতে তার প্রায় দুই লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। এর মাঝে পেঁপের চারা ছাড়া বাকী চারাগুলো কৃষি অফিস থেকে সরবরাহ করা হয়েছে এবং ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি সারও কৃষি অফিস দিয়েছে।
বাগানে উপস্থিত থাকা নির্বান কুমার চাকমার সাথে আলাপকালে তিনি জানান, বর্তমানে আম ও লিচু গাছে (মালচিং) চলছে। মালচিং কি জানতে চাইলে তিনি বুঝিয়ে দেন, প্রতিটি গাছের গোড়াতে বিভিন্ন খড়, পাতা ও কাঠি জমিয়ে রাখা হয় আর এগুলোর মাঝে রাতে কুয়াশা পড়ে পানি জমলে গাছ তার প্রয়োজনীয় পানি শোষণ করে নেয় এবং গাছগুলো সব সময় সতেজ থাকে।
নির্বান চাকমা জানালেন, সোহেল রানা একজন সৌখিন কৃষক কারণ যে কোন পরামর্শই সে গুরুত্বের সাথে নেয় এটাই একজন কৃষকের বড় বৈশিষ্ট্য। বিদায় বেলা এ প্রতিবেদককে সোহেল মিষ্টি হেসে জানালেন, ফল ধরা না ধরা সেটা সম্পুর্ন ভাগ্যের ব্যাপারে তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে ও গাছ যদি রোগে আক্রান্ত না হয় তবেই কষ্ট স্বার্থক হবে এবং এক বছরেই পূঁজি উঠে আসবে।