parbattanews

পানছড়ির কলমের হাটে জমজমাট বেঁচা কেনা

স্টাফ রিপোর্টার:

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় সপ্তাহে দুটি হাট জমে। রোববারে উপজেলার প্রাণকেন্দ্র পানছড়ি বাজার অপরদিকে বৃহস্পাতিবারে ভারত সীমান্ত ঘেঁষা লোগাং বাজার। আম্রফালি, লিচু, জাম্বুরা, কমলা, লেুব, পেঁপে, নীম, বেল, আতা, আমড়া, লটকন, জলপাই. ঔষধি ও সেগুন কাটিংসহ নানান জাতের কলমে পানছড়ি বাজারের প্রধান সড়কের দু’পাশ সেজে উঠে সবুজের অরণ্য ভূমিতে।

হাটবারে কাক ডাকা ভোর থেকে বাজার দু‘টির প্রধান সড়কে বেঁচা কেনা শুরু হয়ে তা জমজমাট থাকে বেলা ১২টা ১টা পর্যন্ত। এরি মাঝে লাখ টাকার অধিক বেঁচা কেনা হয় বলে আলাপকালে জানায় কয়েকজন নার্সারীর মালিক। সরেজমিনে কথা হয় রিয়া নার্সারির মালিক নিজাম উদ্দিন, সুমাইয়া নার্সারির রেজানউল্লা, শফিকুল ও গাউছিয়া নার্সারির সত্বাধিকারী আবদুল হালিমের সাথে। তারা সবাই পানছড়ির বিভিন্ন হাটে বছরের পর বছর এ ব্যবসা করে যাচ্ছে বলে জানান।

তারা পানছড়ি কৃষি অফিস থেকে নিবন্ধন নিয়ে বৈধ ভাবে নার্সারি গড়েছেন। তাদের দাবি বাজারে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিম্নমানের কলম এনে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে। এদের কারণে গুণগতমানের কলমের উপর বিশ্বাস হারাচ্ছে দুর দুরান্ত থেকে ছুটে আসা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অসহায় ক্রেতারা। তাই এদের প্রতিরোধ করা দরকার।

এদিকে নিম্নমানের কলম বিক্রেতাদের কড়া নজরে রেখেছে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। প্রায় প্রতি বাজারেই নিবন্ধন না থাকা বিক্রেতাদের বাজার থেকে সরিয়ে দেয়া দেয়া হচ্ছে। পানছড়ি উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা নজির আহাম্মদ জানান, আজ রোববার হাটের দিনেও দু’জন অসাধু বিক্রেতাকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। তাদেরকে উপজেলা কৃষি থেকে নিবন্ধন নিয়ে কৃষি অধিদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক নার্সারি করার ব্যাপারেও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুনাংকর চাকমা। পানছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলাউদ্দিন শেখ জানান, চারা বা কলম রোপণ ও রক্ষণাবেক্ষণসহ নানা কৌশলাদি এ অধিদপ্তর থেকে হাতে কলমে শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে। এ কৌশলাদি অবলম্বন করলে সফলতা আসবে নিশ্চিত। তাছাড়া নার্সারির জন্য নিবন্ধন করতে কোন খরচ নেই বলেও তিনি জানান।

Exit mobile version