parbattanews

পানছড়ির কৃষকের সাথে এসিআই’য়ের প্রতারণার অভিযোগ

ধান কাটার মেশিন ধরিয়ে দিয়ে এক কৃষককে বিপাকে ফেলার অভিযোগ তোলা হয়েছে এসিআই লিমিটেডের বিরুদ্ধে। অভিযোগকারী কৃষকের নাম মো. দুলাল মিয়া। সে পানছড়ি বাজার এলাকার বাসিন্দা।

দুলাল মিয়া জানায়, এসিআই লিমিটেড নানা ধরণের লোভ দেখিয়ে আমার তিন লক্ষ ষাট হাজার আর সরকারের ভুর্তুকি থেকে তিন লক্ষ ষাট হাজার সর্বমোট সাত লক্ষ বিশ হাজার টাকা মূল্যের একটি ধান কাটার মেশিন আমাকে ধরিয়ে দেয়। বোরো ও আমনের দুটি মৌসুম পার হলেও মেশিনটি কোন কাজ করছে না বলে অভিযোগ কৃষক দুলাল মিয়ার।

মেশিনটি দেয়ার আগে অনেক ভালো সার্ভিস দিবে কোন সমস্যা হবে না এমন আশ্বাসই তাকে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু মেশিনটি দিয়ে জমিনে ধান কাটার কোন কাজই হচ্ছেনা। বর্তমানে ঘরের চালের নিচে পড়ে থাকা মেশিনটি মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসিআইয়ের সাথে যোগাযোগ করলে ঠিক করে দিব দিচ্ছি বলে মাসের পর মাস শেষ হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

কৃষকের দাবি, বিভিন্ন সময়ে মেকানিক আসলেও তাদের খরচ বাবদ প্রায় চল্লিশ হাজার ও বিবিধভাবে খরচ হয়েছে প্রায় বিশ হাজার। বর্তমানে এতগুলো টাকা হারিয়ে আমি দিশেহারা। সরকারের ভুর্তুকিসহ সব টাকা ফেরত দিয়ে মেশিনটিকে এসিআইয়ের হেফাজতে নেয়ার দাবি জানায় সে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আলাউদ্দিন শেখ জানায়, মেশিনটা কোন কাজ করছে না তা আমি নিজেই দেখেছি। এসিআই লিমিটেড কৃষকের সাথে প্রতারণা করছে তা সত্যি। ইতিমধ্যে তারা প্রকল্প অফিস থেকে ভুর্তুকির তিন লক্ষ ষাট হাজার টাকা তুলে নিয়েছে। আমাদের দায়িত্ব ছিলো মেশিন হস্তান্তর ও মেশিন কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করা। এসিআইকে অনেকবার বলা সত্বেও তারা সমাধানে এগিয়ে আসেনি।

এ ব্যাপারে এসিআইয়ের রিজিওনাল ডেভেলাপমেন্ট অফিসার রেজাউল করিমের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান, কৃষকের সাথে কথা হয়েছে। সার্ভিসিং করার জন্য লোক যাবে। তবে মেশিনের কোন সমস্যা নাই। ধানের উচ্চতা কম তাই মেশিন কাজ করছেনা। কৃষক দুলাল মিয়ার দাবি দুই মৌসুম পার হলেও মেশিন দিয়ে কাজ হয়নি। ধানের উচ্চতা নিয়ে মেশিন হস্তান্তরের আগে কোন কথাই বলেনি। আমার টাকাগুলো বুঝিয়ে দিয়ে মেশিনটি ফেরত নেয়ার ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

অনেক কৃষকের সাথে আলাপকালে তারা জানায়, এসিআইয়ের পণ্যাদি অত্র এলাকায় বিভিন্ন দোকানে প্রচুর পরিমানে শোভা পাচ্ছে। তাদের উচিত সহসাই এর একটা সমাধান করা।

Exit mobile version