parbattanews

পানছড়ির গৃহবধূ শাহানা হত্যার অন্যতম আসামী রহিম বাদশা এখন শ্রীঘরে

Rahim PIC copy

শাহজাহান কবির সাজু, পানছড়ি প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার গৃহবধূ শাহানা হত্যার অন্যতম আসামী রহিম বাদশাকে আটক করেছে পানছড়ি থানা পুলিশ।

আটক রহিম বাদশা (১৯) ৩নং সদর পানছড়ি ইউপির শনটিলা গ্রামের শাহানার সতীন জাহানারা ও স্বামী মো: জারু মিয়ার ছোট ছেলে। ঈদের আনন্দ উপভোগের আগেই পানছড়ি থানা পুলিশ রহিম বাদশাকে আটক করে পাঠিয়েছে শ্রীঘরে।

জানা যায়, পানছড়ি থানা পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর ও শাহানা হত্যা মামলার তদারকী কর্মকর্তা মো: আরিফুর রহমানের চতুরতায় খাগড়াছড়ির পানখাইয়া পাড়া এলাকার একটি চা দোকান থেকে তাকে আটক করে।

২৪/৬/১৫ ইং বুধবার রাতে নিজ ঘরের মাটির নিচ থেকে শাহানার লাশ উদ্ধারের পর পরই জাহিদুল, জাহাঙ্গীর ও রশিদকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু হাল ছাড়েনি পানছড়ি থানা পুলিশ।

অফিসার ইনচার্জ মো: আ: জব্বারের সঠিক নির্দেশনা, তদারকী কর্মকর্তার কড়া নজরদারীতে অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে পলাতক রহিম বাদশা। রহিম বাদশা নিজের নাম ঠিকানা গোপন করার চেষ্টা করেও নিজেকে শেষ রক্ষা করতে পারেনি।

মামলার তদারকী কর্মকর্তা এস.আই আরিফুর রহমানের সাথে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, রহিম বাদশাকে আটকের পর শাহানা হত্যার অনেক গুরুত্বপূর্ণ রহস্য বেরিয়ে এসেছে এবং রহিম বাদশা এ হত্যাকাণ্ডের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করেছে।

রহিম স্বীকারোক্তিতে জানিয়েছে, এ হত্যাকাণ্ডে ঘটনা ঘটেছে ২২/৬/১৫ ইং তারিখ সোমবার মধ্যরাতে। শাহানাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করার পর মরদেহটি দূরে কোথাও ফেলে দেওয়ার জন্য শত চেষ্টা করেও মরদেহটি মাটি থেকে ৫/৬ জনে মিলে তুলতে না পারার আশ্চর্যজনক ঘটনাটিও জানায় রহিম। পরে বাধ্য হয়ে চৌকির নিচে গর্ত করে কোন রকম চাপা দেয়। যে চাটাইয়ে শাহানাকে খুন করা হয়েছে সে চাটাইটি টয়লেটের গর্তে ফেলে দিলেও রহিমেও স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তা উদ্ধার করা হয়েছে।

এস.আই আরিফ আরো জানান, ঘটনার মূল হোতা জারু মিয়া ও তার বড় স্ত্রী জাহানারাকে আটকের সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

পানছড়ি থানা পুলিশের এ সাফল্যে সন্তোষ প্রকাশ করেছে পানছড়ির সর্বস্তরের জনগণ। শাহানার ভাই জয়নাল এ প্রতিবেদককে জানায়, পানছড়ি থানা পুলিশের আন্তরিকতা ও কড়া নজরদারীর ফলেই মাটিরাঙ্গা থানার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে জাহাঙ্গীর, রশিদ ও খাগড়াছড়ির পানখাইয়া পাড়া থেকে রহিমকে আটক করা সম্ভব হয়েছে।

পানছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মো: আ: জব্বার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, হত্যাকাণ্ডে জড়িত বাকী দু’আসামীকেও আটকের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

Exit mobile version