পানছড়ির দেবাশীষের বাগানে শোভা পাচ্ছে বলসুন্দরী আর পেয়ারা

fec-image

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার দেবাশীষ চাকমার বাগানে শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন বলসুন্দরীকুল আর পেয়ারা। পাঁচশত বলসুন্দরী আর গোল্ডেন এইট ও থাই ফাইভ জাতের পেয়ারা দিয়ে সাজানো তার বাগানটি। পানছড়িতে গত দু’তিন বছরে কূল বাগান করে কৃষকেরা দেখছেন সফলতার মুখ। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো মাত্র আটমাসেই গাছ থেকে ফল বাজারজাত করা যায়।

বর্তমান সময়ে স্থানীয় বাগানের কুল আর পেয়ারা নিত্য মিলছে পানছড়ি বাজারে। তাছাড়া উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে জেলা সদরেও রপ্তানির কথা জানালেন অনেক কৃষক। পানছড়ি বাজারে বিভিন্ন জাতের কুল প্রতি কেজি: বিক্রি হচ্ছে একশত বিশ থেকে একশত চল্লিশ টাকা। ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে বইছে স্বস্তির হাসি।

দেবাশীষ চাকমার সাথে কথা বলে জানা যায়, তিনি শুক্র মোহন কার্বারী পাড়ার মৃত ব্রজ হরি চাকমা ও সুধীরবালা চাকমার সন্তান। ৪নং লতিবান ইউপির তারাবনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন স্লুইস গেইটের পাশে দুই একর জায়গা দুই লক্ষ টাকা দিয়ে লিজ নেন দশ বছরের জন্য। নয় মাসে বাগানটি পরিপূর্ণতা লাভ করে এবং ইতিমধ্যে বাগানের প্রতিটি গাছে শোভা পাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন কুল ও পেয়ারা। চারা ক্রয়, বাগান পরিচর্চা, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরী বাবদ দুই লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা খরচ হলেও বার লক্ষাধিক টাকার ফল বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন।

এদিকে ২নং চেংগী ইউপির মধুমঙ্গলপাড়ার ক্রাইম্যারাম চাকমার সন্তান শ্যামল চাকমা বলসুন্দরী ও কাশ্মিরী কুলের বাগান সাজিয়েছে ছয়শত গাছ দিয়ে। সাড়ে তিন বিঘা জায়গার উপর বাগান সাজাতে তার খরচ হয়েছে দুই লক্ষ টাকার মতো। তবে পরিকল্পনায় ভুল থাকায় খরচ একটু বেশি হলেও প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার বিক্রি হবে আশা প্রকাশ করছে।

পানছড়ি উপজেলা সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা অরুনাংকর চাকমা জানান, উপজেলায় ৫ হেক্টর জমিতে বল সুন্দরী ও ৭ হেক্টর জমিতে কাশ্মিরী কুলের চাষ হয়েছে। এসব জাত এক বছরের মধ্যেই ফল দেয়। বর্তমানে দুটি জাতের দিকে কৃষকেরা ঝুকছেন বেশি। কুলের পাশাপাশি থাই পেয়ারাও এই এলাকায় একটি সম্ভবনাময় ফলন বলে তিনি জানালেন। পানছড়ির বিভিন্ন এলাকার বাগানগুলোতে থোকায় থোকায় কুল ঝুলে থাকার দৃশ্য এক নজরেই মন কেড়ে নেয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন