parbattanews

পানছড়ির পেয়াজুর স্বাদ নিতে দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড়

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার দৃষ্টিনন্দন পেয়াজু পয়েন্টের দক্ষিণে শোভা পাচ্ছে শান্তিপুর রাবার ড্যাম আর উত্তরে কর্ম্মাপাড়ার হলদে সরষে মাঠ। মাঝখানে চেংগী নদীর বাঁকের পাশেই পেয়াজু পয়েন্ট। বছর চারেক আগে এলাকার সমিতা চাকমা ছোট্ট একটি ঘরে গড়ে তোলেন পেয়াজু দোকান। টাটকা তেলে ভাজা মচমচে সেই পেয়াজুর সুনাম অল্প দিনেই ছড়িয়ে পড়ে উপজেলার সর্বত্র। পাশাপাশি দোকান গড়ে তোলেন শান্তনা চাকমা ও শিবু চাকমাসহ অনেকেই। বর্তমানে পেয়াজু পয়েন্ট মানেই দর্শনার্থীর আলাদা আকর্ষণ।

শীতের বিকেলে তিনটার পর পেয়াজু পয়েন্টে দেখা মিলে উপচে পড়া দর্শনার্থী। পেয়াজু ছাড়াও এই পয়েন্টে পাওয়া যায়, শুটকি ও মাছের রান্না পাচন, বিরিয়ানি, চকপটি, মাছ ভাজা, কলা পাতায় বানানো পিঠা, ঝাল মুড়িসহ নানান মজাদার খাবার। পাশাপাশি গড়ে উঠেছে কাপড় দোকানসহ অসংখ্য দোকান পাট।

সরেজমিনে কথা হয় পানছড়ির সামাজিক সংগঠন “চিহ্নের” পরিচালক শামিম সিহাবের সাথে। সে জানায়, এই এলাকায় এক সময়ে কিছুই ছিলনা। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে পরিচিতি লাভ করেছে পেয়াজু পয়েন্ট নামে। এই নামেই এখন এলাকাটি জেলাব্যাপী পরিচিত। টাটকা তেলের সুস্বাদু পেয়াজুর স্বাদ নিতে বন্ধু-বান্ধব মিলে আমরা প্রায়ই ছুটে আসি। আসলেই খাঁটি পেয়াজু। দর্শনার্থীর ভীড়ে বর্তমান সময়ে বসার জায়গা পাওয়াটাও কষ্টসাধ্য।

ঠিকাদার ফারুক জানান, এখানকার পেয়াজুর মজাই আলাদা। প্রায়ই বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ছুটে আসি পেয়াজুর স্বাদ নিতে।

এলাকার সংঘমিত্র চাকমা জানায়, পেয়াজু পয়েন্টের সাথেই আমার বাড়ি। এক সময়ে এলাকাটি ছিল নিরিবিলি। বর্তমান সময়ে বিকেল হলেই জমে উঠে দর্শনার্থীর ভীড়। শত শত মানুষের আনগোনা আর গাড়ির শব্দ দারুণ উপভোগ করি। খাগড়াছড়ি সদর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে আর পানছড়ি বাজার থেকে তিন কিলোমিটার দূরেই এই পেয়াজু পয়েন্টের অবস্থান।

Exit mobile version