পানছড়ির প্রতিবন্ধী হানিফের দৃষ্টিনন্দন গরু খামার
১৯৯১ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় দু’পা হারায় মো. হানিফ। হানিফের বর্তমান বয়স (৫২)। তিনি পানছড়ি উপজেলার পূর্ব দমদম গ্রামের মৃত আবদুল জব্বারের ছেলে। বাড়ির আঙিনায় ৮টি গরু দিয়েই গড়ে তোলে খামার। যেখানে বর্তমানে রয়েছে সুষ্ঠ, সবল দেহের ৭টি ষাঁড় গরু। একটি গরু বিক্রি করে মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন করেছেন। বাকি সাতটি গরু সামনে কোরবানির আগে বিক্রি করে তিনি মোটা অংকের লাভের আশা করছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়ির আঙিনায় এক পরিপাটি গোয়াল ঘর। গরুর খাবারের পানি ও ঘর পরিষ্কারের জন্য স্থাপন করেছেন বিশালাকার পানির ট্যাংক। প্রতিদিন সাঝ সকালে ঘুম থেকে উঠে নিজেই পরিচর্যা শুরু করেন। গরুর খাবার, গোসল ও চিকিৎসাসহ সব কাজ নিজ হাতে করেই তৃপ্তি পায় বলে জানান তিনি। প্রতিবন্ধিতা জয় করে তিনি খামারীর পাশাপাশি পানছড়ি উপজেলা প্রতিবন্ধী কল্যাণ সংঘের সাধারণ সম্পাদকের চলতি দায়িত্বে আছেন। সরকারিভাবে মোটা অংকের দীর্ঘ মেয়াদী লোন পেলে বড় আকারে খামার করার ভাবনা চিন্তা রয়েছে তার। এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতা চান তিনি।
পানছড়ি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সমাপন চাকমা বলেন, কৃষি ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাইলে প্রত্যয়নপত্রসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। তাছাড়া গরুর চিকিৎসার ব্যাপারেও আমরা তৎপর রয়েছি।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিবন্ধী অফিসার মো. শাহজাহান বলেন, কারো করুণা বা দয়া নয়। অদম্য মনোবল আর ইচ্ছাশক্তিই যে বেকারত্ব ঘোচাতে পারে এর জলন্ত উদাহরণ শারীরিক প্রতিবন্ধী হানিফ। তিনি উৎসাহ যোগানসহ তাঁর সফলতা কামনা করেন।
নিউজটি ভিডিওতে দেখুন: