parbattanews

পানছড়ির বিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে গাইড প্রকাশনীর গোপন চুক্তির অভিযোগ


নিজস্ব প্রতিবেদক, পানছড়ি:

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিভিন্ন গাইড প্রকাশনীর গোপন চুক্তির অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রতি বছরই নিম্নমানের গাইড, বাংলা ব্যাকরণ ও ইংরেজী গ্রামার পাঠ্য করাতে পুরো উপজেলায় দাবড়িয়ে বেড়ায় গাইড প্রকাশনীর অসাধু দালালচক্র। অক্টোবর থেকেই তারা শুরু করে গোপন চুক্তির কার্যক্রম। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কতিপয় শিক্ষকের মাধ্যমে নিম্ন মানের গাইড, বাংলা ব্যাকরণও ইংরেজী গ্রামার পাঠ্য করিয়ে বই ক্রয়ে অভিভাবকদের বাধ্য করানোই তাদের মূল কাজ। গোপন চুক্তির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে গ্রুপিং ও দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয় বলেও একাধিক সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, পানছড়ির বিভিন্ন বিদ্যালয়গুলোতে এবারে কোমর বেঁধে নেমেছে জুপিটার, পাঞ্জেরী, অনুপম, পপি, পুথিনিলয় ও দিগন্ত প্রকাশনী। কোনো কোনো প্রকাশনী টাকার অংক বাড়িয়ে চুক্তি করছে, আবার কোনো কোনো প্রকাশনী শিক্ষকদের সরাসরি প্রস্তাব দেয় ‌‌’টাকা লাগবে নাকি গিফট’? প্রকাশনীর এসব লোভনীয় টোপে কিছু শিক্ষক চুক্তিবদ্ধ হয় তাদের সাথে।

কয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিদ্যালয়ে চুক্তিবদ্ধ প্রকাশনীর বই ক্রয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের চাপ প্রয়োগ করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরো কয়েকজন জানায়, ব্যাকরণ ও গ্রামার প্রতি বছর কেন পরিবর্তন করা হয় তা আর আমাদের বুঝতে বাকী নেই।

পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের পিটিএ সদস্য ও ৩নং সদর পানছড়ি ইউপির ৪নং ওয়ার্ড সদস্য মো. মতিউর রহমান জানান, সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক বিভিন্ন প্রকাশনীর গাইড, ব্যাকরণ ও গ্রামার পাঠ্য করার নিয়ম নাই। বিদ্যালয়গুলো সরকারী নির্দেশনা মেনে চলা দরকার।

পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেম জানান, বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত বই ছাড়া বাইরের কোন বই চুক্তিভিত্তিকভাবে যেসব বিদ্যালয় পাঠ্য করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Exit mobile version