parbattanews

পানছড়ির মনি পাড়ায় ফুটেছে মণিরাজ ফুল

গ্রামের নাম ফুলের নাম ও ফুল মালিকের নাম প্রায় কাছাকাছি। উপজেলার ১নং লোগাং ইউপির মনি পাড়ার মন চন্দ্র চাকমার বাড়িতে ফুটেছে মণিরাজ ফুল। উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ক্রেডিট সুপারভাইজার উদয়ন চাকমার মাধ্যমে মিলে মনিরাজ ফুটার খবরটি।

সরেজমিনে মধুমঙ্গলপাড়া হয়ে চেংগী নদীর ওপারের উঁচু-নিচু পাহাড় বেয়ে অবশেষে পাওয়া গেল মনচন্দ্র চাকমার বাড়ি। সে প্রেমদাশ চাকমার সন্তান বয়স পঁচাত্তর। প্রায় চৌদ্দ বছর আগে পানছড়ি বাজার থেকে পঁচিশ টাকায় কেনা গাছটি এবারেই প্রথম ফুল দিল। জীবনে সে প্রথমবারের মতো মনিরাজ ফুটতে নিজ চোখে দেখেছে বলে জানায়।

এলাকার বয়োবৃদ্ধ পূর্ণমোহন চাকমা, মুক্তলতা চাকমারা জানায়, জীবনে এই প্রথম দেখা মনিরাজ। জানা যায়, এই গাছের নাম বাংলায় মণিরাজ হলেও তার প্রকৃত নাম সাইকাস। গাছের ফুলগুলো সাপের ফনার মতো দেখা যায় বলে মুলত: সাপুড়েরা এই গাছকে মণিরাজ বলে প্রচার করে থাকে।

মনিরাজ তথা সাইকাস গাছ দুষ্প্রাপ্য না হলেও এর ফুল দুষ্প্রাপ্য। সব গাছে ফুল ফোটে না। এটির মাদার প্লান্টই মাত্র ফুল দেয় তাও গাছের বয়স এক যুগ পার হলে। তাই সাইকাসের ফুল ফোটাকে সৌভাগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। একটি পূর্ণ বয়স্ক গাছের ঠিক মাথার মধ্যে গোলাকার দৃষ্টিনন্দন মোচা বের হয়। মোচা থেকে ফুলটি ফুটার পর প্রথমে সাদা রংয়ের থাকলেও দিন দিন এটি খয়েরি রং ধারণ করে। এভাবে প্রায় দুই মাস থাকে ফুলটি।

ফুল থেকে যখন ফলটি হয় তখন তা দেখতে বড় কাঁঠাল আকৃতির যা কিছুটা শরিফা ফলের মতো ছোট ছোট কোষে ভাগ করা। তবে সহজেই একটা থেকে অন্যটা কোষ আলাদা করা যায়। এটা পেট ব্যথা, দাঁত ব্যথা, কাটা-ছেড়া, স্তন ব্যথা, পাতলা পায়খানা সাপের দংশনসহ নানান রোগের কাজ করে বলে অনেকে জানান। প্রতিটি কোষের দাম বর্তমান বাজারে পঁচিশ থেকে ত্রিশ টাকা। একটা ফলে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই হাজার কোষ থাকে। এটি বিরল প্রজাতির বলে জানা যায়।

Exit mobile version