parbattanews

পানছড়ির মায়াকাননের মায়ায় নিত্য ছুটে আসছে দর্শনার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদক, পানছড়ি:

পানছড়ি উপজেলা পরিষদ থেকে পঞ্চাশ গজ দুরেই মায়াকাননের ঠিকানা। পানছড়ির উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল হাশেমের হাত ধরেই এটির আত্মপ্রকাশ। এর আগে তিনি উপজেলার শুরুতেই কংচাইরী পাড়াকে সাজিয়েছেন দৃষ্টিনন্দন মায়াবিনী লেক দিয়ে। যেখানে এখন নিত্য দেখা মিলে হট-টি-টি পাখিসহ নানান অতিথি পাখির আনাগোনা।

পরবর্তীতে  উপজেলা ও তার আশ-পাশ এলাকার বিনোদন বঞ্চিতদের জন্য গড়ে তুলেছেন মায়াকানন। মায়াকাননের আত্মপ্রকাশের পর থেকেই বিনোদনে ছুটে আসছে দর্শনার্থীরা। বিকেলে গেলেই দেখা যায়, কেউ দোলনায় চড়ছে, কেউ সাঁকো পার হচ্ছে, কেউবা কাছে গিয়ে দেখছে মাটি কেটে বানানো বিশালাকার লাল-সবুজের মানচিত্র আর কেউবা বসে মজার মজার খাবারের স্বাদ নিচ্ছে চেংগী রিভার ভিউ ক্যাপে।

খাগড়াছড়ি ক্যান্টঃ পাবলিকের শিক্ষার্থী কানন জানায়, পানছড়িতে আমার নানার বাড়ি আর এই পার্কের নামটাও আমার নামের সাথে মিল রয়েছে তাই সুযোগ পেলেই উপভোগে ছুটে আসি। মায়াকাননের সবচেয়ে আকর্ষণ হচ্ছে তার পশ্চিমে বয়ে গেছে চেংগী নদী। যা মায়াকাননে দাঁড়ালে কমপক্ষে দুই মাইলের অধিক পর্যন্ত নজরে আসে। এই মায়াকাননে জেলার প্রশাসনিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার পদচারণ ঘটেছে।

২৯৮ নং আসনের সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম এই পার্কটিকে আধুনিকায়নের ব্যাপারে সকল ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন।

সম্প্রতি এই উপজেলায় যোগ দেয়া ইউএনও মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সাবেক ইউএনও মুহাম্মদ আবুল হাশেমের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার ব্যাপারে তিনি আন্তরিক।

সর্বশেষ গেল সপ্তাহে সাবেক ইউএনওসহ মায়াকাননে আসেন বাংলাদেশ ট্যুারিজম বোর্ডের পরিচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান। ঝুলন্ত ব্রীজসহ এ এলাকার মানুষকে একটি আধুনিক বিনোদন কেন্দ্র উপহার দেয়ার ব্যাপারে আন্তরিক বলে এ প্রতিবেদককে জানান।

মায়াকানন পরিচালনাকারী দলের কাউছার, আরিফ, মানিক, শফিক ও শাহাদাৎ জানায়, দর্শনার্থীর অনেক চাহিদা। সে মোতাবেক ক্যাবল কার ও রেলগাড়ি এ পার্কে সংযোজন করার প্রক্রিয়া চলছে। ভারত সীমান্তঘেঁষা পানছড়ির সুন্দর মনের মানুষগুলো ছিল বিনোদনহীন সেই মানুষগুলোর মাঝে যারা আজ বিনোদনের সুযোগ করে দিয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে উপভোগে আসা দর্শনার্থীরা।

Exit mobile version