পানছড়ির লোগাংয়ে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ব্যাপক ভাংচুর
নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নে ব্যাপক ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ১নং লোগাং ইউপির ৪নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ভোটে পরাজিত হয়ে নির্বাচিত মেম্বারের কর্মী সমর্থকদের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাংচুর, ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা। ফুটবল প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী রুবেল মিয়া ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে এ ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায়, ভোট গননা শেষে টিউবওয়েল প্রার্থী নির্বাচিত ঘোষনার পর পরই এ ঘটনা ও হামলার শিকার হতে হয়েছে বলে জানান শান্তি নগর এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ভোটার ও বাড়ির মালিকরা। হামলার সময় পরাজিত প্রার্থীর ৩০ থেকে ৪০ জনের অধিক একটি দল অংশ নেন। এ নিয়ে এলাকায় এখনও বিরাজ করছে ভয়-ভীতি-আতঙ্ক। প্রশাসনের হস্থক্ষেপ দাবি করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি ও ক্ষতিপুরণসহ নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।
অভিযুক্ত ফুটবল প্রতীকের মেম্বার প্রার্থী রুবেল মিয়া সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মুলত যাদের বাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে তারা সবাই নৌকায় ভোট না দিয়ে আনারসে ভোট দিয়েছে এবং কারচুপি করে টিউবওয়েল মার্কা জয়ী হয়েছে। এলাকার ছাত্রলীগ ও যুবলীগ মিলে এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে তিনি জানান।
নির্বাচনে কারচুপি ধামাচাপা দিতে এ ঘটনার সাথে তাকে জড়ানো হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ তোলেন। নির্বাচিত মেম্বার মো. সাহেব আলী এ ঘটনার জন্য পরাজিত প্রার্থী রুবেল ও তার কর্মী বাহিনীকে দায়ী করেছেন। হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, ভোটারদের মারধর করার পর ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে স্থানীয় ৩০-৪০ জনকে এলাকা ত্যাগে বাধ্য করার ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনছারুল করিম জানান, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় অত্র থানায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা বলেও জানান তিনি।
মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই নাজমুল হোসাইন জানান, মালেক মির্জা বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ৩১ জন ও ৮-১০ জনকে অজ্ঞাত করে একটি মামলা দায়ের করেছে। তিনি ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন এবং আসামীদের আটক করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে জানান।