পানছড়ির লোগাং সেতুতে উঠতে ঝাঁকুনি নামতে ঝাঁকুনি

fec-image

পানছড়ি উপজেলার লোগাং সেতুতে উঠতে এক ঝাকুনি নামতে এক ঝাকুনি আমাদের খুব কষ্ট হয়। রাতের বেলায় তো আরো বেশী কষ্ট। এমন দূর্ভোগের কথাই তুলে ধরলেন পানছড়ি-লোগা-দুধকছড়া সড়কের টমটম যাত্রী পহরচান পাড়া গ্রামের মলিনা চাকমা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য পানছড়ি- দুধুকছড়া সড়কে নির্মাণ করা হয় ৯টি পাকা সেতু। দৃষ্টিনন্দন এই সেতুগুলো বর্তমানে পানছড়ি নৈসর্গিক সৌন্দর্য। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত সেতুগুলো ভার্চুয়ালি সংযুক্তি থেকে গত ৯’নভেম্বর অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কিন্তু এর মাঝে দেখা যাচ্ছে কয়েকটি সেতুর দু’পাশ প্রায় এক ফুটের অধিক নিচের দিকে দেবে যাচ্ছে। যার কারণে সড়কে চলা সিএনজি, ব্যাটারি চালিত টমটম, মোটর সাইকেলের যাত্রীরা চলার পথে খেতে হয় বিশালাকার ঝাঁকুনি। উদ্বোধনের ৫’মাসের মাথায় সেতুর দু’পাশ এভাবে দেবে যাবে তা চিন্তাও করতে পারছেন না পথচারী ও চালকেরা।

সরেজমিনে তিন পার্বত্য জেলার সবচেয়ে দীর্ঘ লোগাং সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সেতুর উত্তর ও দক্ষিণ পাশে প্রায় এক ফুটের মতো দেবে গেছে।

স্থানীয় মিস্ত্রির সাথে আলাপকালে তারা জানান, দু’মুখের এংগেল বক্স ভালোভাবে ফিলিং না করার কারণে দেবে যাচ্ছে। বর্ষার আগে মেরামত না করলে আরো দেবে গিয়ে সেতুর উপর চাপ পড়তে পারে বলে তারা ধারণা করছেন।

অভিজ্ঞ এক প্রকৌশলীর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, প্রথমত এপ্রোসে স্লাব দেয় নাই ও ফাইনাল কার্পেটিংয়ের আগে ভালোভাবে ফিলিং করে নাই তাই দেবে যাচ্ছে।

এই সড়কের দায়িত্বে থাকা খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথের উপ-সহকারী প্রকোশলী রনেন চাকমা জানান, খুব দ্রুত সেতুর দু’পাশ সংস্কার করে দেয়া হবে।

নিউজটি ভিডিওতে দেখুন:

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন