parbattanews

পানছড়ির হামিদার ভালোবাসা তিনশ পঁয়ষট্টি দিন

পানছড়ি বাজারের পিঠা মেম্বার হিসাবে খ্যাত আবদুল আলীর স্ত্রীর নাম হামিদা। পানছড়ি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার পিছনে বাঁশঝাড় বেষ্ঠিত চেঙ্গী খালের পাড়েই পরের জায়গায় তাদের জরাজীর্ণ ঘর। হামিদার গর্ভে জন্ম নেয়া চার সন্তানের মাঝে তিনজনই খর্বকায় প্রতিবন্ধী।

বিগত ৫ বছর আগে মারা যায় আম্বিয়া। শাহানা (২১) ও আবদুল হামিদের বয়স এখন (১৪)। হামিদ এবার জেডিসিতে দুই বিষয়ে খারাপ করেছে। মায়ের কোলে চড়েই তার মাদ্রাসায় আসা-যাওয়া। ছেলেকে মাদ্রাসার ক্লাসে বসিয়ে মা অপেক্ষায় থাকে ফাঁকে ফাঁকে ঘরে রেখে আসা শাহানাকে দেখে আসে। মাদ্রাসার ক্লাসের ফাঁকে হামিদ বাথরুমে গেলেও মা’র কোলে চড়েই যায়। দীর্ঘ ২১টি বছর হামিদা বুকে আগলে লালন পালন করছে তাদের। ভালোবাসা দিবস নামে যে একটি দিন রয়েছে তা হামিদার সম্পুর্ন অজানা।

১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে নিজ বাড়ির আঙিনায় দু’সন্তানকে নিয়ে খেলার ফাঁকে হামিদাকে ভালোবাসা দিবসের কথা জিজ্ঞাসা করা মাত্রই হামিদার সরাসরি উত্তর আমরা গরীব মানুষ ভালোবাসা-টালোবাসা ইতা বুঝিনা। পোলা আইতের বাপে পিডা বেইচ্ছা চাইল-ডাইল আইন্যা দে রাইন্দা খাওয়াই ইতাই আমরার ভালোবাসা। এর মাঝে হামিদার এক কঠিন প্রশ্ন স্যার আপনাদের ভালোবাসা কি একদিনের? আমরার ভালোবাসা তো বছরের তিনশ পয়ষট্টি দিন। গৃহবধু হামিদার ভালোবাসা যে সারাবছর জুড়ে তার সত্যতা নিশ্চিত করলেন পাড়া প্রতিবেশীরা।

Exit mobile version