স্টাফ রিপোর্টার:
খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় অবশেষে কেটেছে জিপিএ-৫ খরা। বিগত ২ থেকে ৩ বছরে উপজেলায় জিপিএ-৫ না পাওয়ায় অভিভাবক মহলে নেমে আসে চরম হতাশা। পানছড়ি বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের মেধাবী মো. হেলাল উদ্দিন মোটেও সন্তুষ্ট হতে পারেনি প্রাপ্ত ফলাফলে। ৪.৯৪ পেয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে সে শরণাপন্ন হয় সহপাঠি ও সিনিয়রদের।
অবশেষে পরামর্শক্রমে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সে গণিত বিষয় পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন জানায়। তাতেই মিলল তার কাঙ্খিত ফল। পুরো পানছড়ির অভিভাবক মহলের মাঝেও আসে স্বস্তির নি:শ্বাস যাক অন্ত:ত একটি জিপিএ-৫ পানছড়ির মান রক্ষা করেছে। মো. হেলাল উদ্দিন পানছড়ি বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মো. আবদুল আজিজ ছেলে। ছেলের ফলাফলে মা বাবা খুশিতে আত্মহারা বলে তাদের অনুভুতি জানায়। তাছাড়া হেলালের ছোট বোন রুমানা আক্তারও এবারের ৪র্থ শ্রেণির জেলা পরিষদ বৃত্তিতে পানছড়ি বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে টেলেন্টপুল বৃত্তি লাভ করে।
মেধাবী হেলাল পার্বত্য নিউজকে জানায়, জিপিএ-৫ পাবো আমি শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম। কিন্তু বোর্ডের ভুলে আমি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। অবশেষে আমি আমার কাঙ্খিত ফল পেয়েছি। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হেলাল চট্টগ্রাম মহসিন কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ অথবা খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে ভর্তি হয়ে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয় চায় বলে জানায়।