parbattanews

পানছড়ি আনন্দের অন-লাইন ফি একশত টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলার রক্স পরিচালিত আনন্দ শিক্ষা কেন্দ্রে নতুন বইয়ের তথ্যাদি প্রেরণের জন্য অন-লাইন ফি বাবদ একশত টাকা করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ভবনে পরিচালিত রক্স অফিসে গিয়ে টিসি সুবর্ণা খীসাকে পাওয়া যায় নি। অফিসের দরজায় তালা ঝুলছে। তিনি অসুস্থতা জনিত কারণে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলেও জানা যায়। কয়েকজন কেন্দ্র শিক্ষক অন-লাইন ফি’র টাকা জমা দিতে এসেও ফেরৎ যাচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার সত্বে তারা জানায়, নতুন বইয়ের জন্য একশত টাকা দিতে এসেছি। পরবর্তীতে আনন্দের কেন্দ্র শিক্ষক লোকমান হোসেন দুলাল যিনি অফিসিয়াল কাজে টিসিকে সার্বিক সহযোগিতা করেন তার মোবাইল ফোনে কথা বলে জানা যায়, আসলে এটা বইয়ের জন্য নয় এ একশত টাকা অন-লাইন খরচের। এ টাকা নেয়ার বৈধতা সম্পর্কে সে কিছুই জানাতে পারেনি। পানছড়ি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নুরুল আমিন জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা। তারা কি করছে না করছে আমার সাথে কোন পরামর্শ করে না।

উল্লেখ্য পানছড়ি উপজেলা সাবেক শিক্ষা অফিসার মোশারফ হোসেন (বর্তমান হাতিয়ায়) পানছড়ির বিভিন্ন এলাকায় অপরিকল্পিতভাবে অর্থের বিনিময়ে গড়ে তোলে রক্স পরিচালিত আনন্দ শিক্ষা কেন্দ্র। নিয়মনীতি না মেনে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেও গড়ে উঠে এ আনন্দ কেন্দ্র। যার ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আনন্দ কেন্দ্রের শিক্ষকদের মাঝে সৃষ্টি হয় নানান দ্বন্দের। বর্তমানে পানছড়ি উপজেলায় প্রায় ৭২টি আনন্দ শিক্ষা কেন্দ্র রয়েছে যার বেশীরভাগই শুধু নামে মাত্র। শুধু আনন্দ নয় ব্র্যাক পরিচালিত কিছু কেন্দ্রও রয়েছে অপরিকল্পিত এবং নতুন নতুন কিছু কেন্দ্র খোলারও চেষ্টা করছে ব্র্যাক। এসবের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও এলাকাবাসী সোচ্চার হলেই তা রোধ করা সম্ভব।

Exit mobile version