parbattanews

পানছড়ি পাইলট ফার্ম বিদ্যালয় ‘উপরে ফিটফাট ভিতরে সদরঘাট’

পানছড়ি উপজেলার স্বনামধন্য একটি বিদ্যালয়ের নাম পাইলট ফার্ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির অবস্থা উপরে ফিটফাট হলেও ভিতরটা সদরঘাট। বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় ১৯৬৯ সালে। পরবর্তীতে ১৯৮৮-৮৯ তে দ্বিতীয় ও ২০০৮-০৯ অর্থবছরের তৃতীয় দফায় পিইডিপি-২ প্রকল্পের মাধ্যমে ভবন সম্প্রসারণ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনের পুরনো ভবনগুলোর বেশিরভাগ অংশ জরাজীর্ণ। বিশেষ করে শ্রেণীকক্ষের ভিতরে প্রায়ই ঝরে পড়ে পলেস্তারা। এতে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকায় অভিভাকদের মাঝেও বিরাজ করে আতঙ্ক ।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের ভবনগুলো তিনভাগে বিভক্ত। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৬০ জন। কিন্তু বিদ্যালয়ে নেই কোন ওয়াশ ব্লক। টয়লেটের অবস্থা বেশ নাজুক। টয়লেটের বিশালাকার ফাটলের ভয়ে কেউ কাছেও যায়না বলে জানালেন শিশু শিক্ষার্থী এনজয় ত্রিপুরা, জান্নাতুল মাওয়া, হাসান ও আসাদুজ্জামান। তাদের দাবি বাহির থেকে বিদ্যালয় ভবন সুন্দর দেখালেও ভিতরটা ভালো না। ভবনে ফাটল, বর্ষাকালে ছাঁদ বেয়ে পানি ঘাঁমানো ও পলেস্তারা খসে পড়ার ভয় সবসময় মনে বিরাজ করার কথা জানায়। ওয়াশ ব্লক আর নতুন ভবন নির্মাণের ব্যাপারে প্রশাসনের সুদৃষ্টি চায় তারা।

বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও কৃতি ফুটবল কোচ ক্যপ্রুচাই মারমা জানান, ১৯৯৫ সালে আমি যখন এই বিদ্যালয়ে পড়েছি তখনও টয়লেট ছিলনা। সে সময়ে প্রায়ই বাসায় গিয়ে টয়লেট সেরেছি। বর্তমানেও আমাদের এলাকার ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মুখে জরাজীর্ণ ভবন ও ফাটলধরা টয়লেটের কথা শুনি।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্থানীয় ইউপি সদস্য আমিরুল বশর জানান, বহুদিনের পুরনো এই বিদ্যালয়টিকে জোড়াতালির মাধ্যমেই টিকিয়ে রাখা হয়েছে। তিনিও ওয়াশব্লকসহ নতুন ভবনের দাবি জানান।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আবছার জানান, আমি গত ২৯ সেপ্টেম্বর এ প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছি। বিদ্যালয়ের টয়লেটে বড় ফাটলের কারণে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুজিত মিত্র চাকমা জানান, ইতোমধ্যে এ বিদ্যালয়ের নামে মেরামতের একটি বরাদ্দ দেয়ার কথা। তাছাড়া নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের তালিকায় এই বিদ্যালয়ের নাম রয়েছে। যা সহসাই বাস্তবায়নের সম্ভবনা রয়েছে।

Exit mobile version