parbattanews

পানছড়ি বাজারে পাহাড়ি-বাঙ্গালি’র মিলন মেলা

আঞ্চলিক সংগঠন ইউপিডিএফ (প্রসীত) গ্রুপের ডাকা বয়কটের পর থেকেই বাজার ছিল ক্রেতাশূণ্য।

গত ২৩ এপ্রিল বয়কটের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে রবিবার (২৮ এপ্রিল) হাটবার সকাল থেকেই জমে উঠে পাহাড়ি-বাঙ্গালির মিলন মেলা। ক্রেতা-বিক্রেতা সকলের মুখে স্বস্তির হাসি।

দোকানী সুন্দর আলী, খলিল জানায়, আজ মানুষের ঢল দেখে খুব ভালো লাগছে। তাছাড়া বেচাকেনাও চলছে ধুমছে।

কৃষক রমি চাকমা, বজেন্দ্র চাকমাসহ কয়েকজন জানান, উৎপাদিত পণ্যাদি নিয়ে বাজারে আসতে পেরে আনন্দ লাগছে। আশা করছি নিজ জমিনে উৎপাদিত পণাদি সঠিক মূল্য বিক্রি করতে পারবো।

তবলছড়ির জিপ চালক মো. আবু হানিফ, আ. মতিন ও আলী জানান, দীর্ঘদিন পর যাত্রী নিয়ে পানছড়ি বাজারে এসেছি। প্রাণচাঞ্চল্য বাজারটি দেখে খুব ভালো লাগছে। প্রাণ ফিরে এসেছে টমটম চালকদের মাঝেও।

পানছড়ি মোহাম্মদপুর এলাকার টমটম চালক আল-আমিন, পাইলট ফার্মের সাইদুলের চোখ-মুখ ভাসছে আনন্দের হাসি।

তারা জানায়, খুব কষ্টে ছিলাম ১১টি মাস। বাজার বয়কটের আগে হাটবারে ১৫শ’-২ হাজার টাকা ভাড়া মারতাম। কিন্তু বয়কট চলাকালীন চারশ’ থেকে পাঁচশ’ মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। ফলে সমিতির কিস্তি চালাতে অনেক কষ্ট হয়েছে। আশা করছি সুদিন আবার ফিরে এসেছে।

ব্যবসায়ী মো. সেলিম, জয় প্রসাদ দেব, পিন্টু বিশ্বাস, উল্লাস, টেনটেনসহ অনেকে বাজারের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসায় খুশি বলে জানায়।

পানছড়ি বাজার উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি তপন কান্তি বৈদ্য জানান, ক্রেতা-বিক্রেতার সহাবস্থান নিশ্চিত করতে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করব।

উল্লেখ্য, গত বছর ১৯ মে পানছড়ি বাজার বয়কটের ঘোষণা দিলে তার কার্যকারিতা শুরু হয় ২০ মে থেকে। দীর্ঘ ১১ মাস পর বাজারের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে দিতে যারা আন্তরিকভাবে কাজ করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ব্যবসায়ীরা।

Exit mobile version