parbattanews

পানছড়ি হাসপাতলে চিকিৎসক না পেয়ে শিশুকে রোগীকে অবশেষে বাজারে এনে চিকিৎসা

Sayem Pic

স্টাফ রিপোর্টার:

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার একমাত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি কয়েকদিন আগে চিকিৎসা সেবায় অবদান রাখার জন্য পেয়েছে পুরস্কার। এই পুরস্কার হতবাক করেছে পানছড়িবাসীকে। তারপরও সান্তনা ছিল হয়তো চিকিৎসা সেবা মানের উন্নতি ঘটবে। কিন্তু জরুরী বিভাগেও ডাক্তার না থাকার কারণ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার সাঁওতাল পাড়া গ্রামের নুরুল আমিন ও মর্জিনা বেগমের ১বছর বয়সী ছায়েম খেলতে গিয়ে গরম পানির পাতিল উল্টে ঝলসে যায় তার পিঠের একাংশ। জরুরী চিকিৎসার জন্য সায়েমকে নিয়ে তার স্বজনরা ছুটে যান পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু জরুরী বিভাগে সবসময় ডাক্তার থাকার কথা থাকলেও ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে কোন ডাক্তার না পেয়ে অবশেষে পানছড়ি বাজারে গিয়ে শিশুটির চিকিৎসা করা হয়।

শিশুটির আত্মচিৎকারে পরিবেশ ভারী করে তোলার দৃশ্য দেখে পানছড়ি বাজারের প্রধান সড়কে সমাগম ঘটে প্রায় অর্ধ শতাধিক লোকের। সবাই উপদেশ দিচ্ছেন তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যেতে। কিন্তু অভিভাবকদের মুখে হাসপাতালে ১ঘন্টা বসে থাকার ঘটনা শুনে সহাই হতবাক। এ নিয়ে সবার মাঝে জমে উঠে চরম ক্ষোভ।

অবশেষে পানছড়ি বাজারের নোবেল ড্রাগ হাউজে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. মিলন কান্তি দে শিশু ছায়েমকে চিকিৎসা দেন। ছায়েমের অভিভাবকসহ উপস্থিত সবার একটাই প্রশ্ন সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে অন্তত একজন ডাক্তার থাকার কথা। কিন্তু ১ঘন্টা অপেক্ষা করেও ডাক্তার বা চিকিৎসা পেলাম না। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ডাক্তারদের শতভাগ উপস্থিতি ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।

Exit mobile version