parbattanews

পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেননি পুতিন : রাশিয়া

পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য রাশিয়া প্রস্তুত বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের করা মন্তব্যের সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ওয়াংশিটনের সমালোচনার জবাবে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন বলেছেন, রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দেননি। যুক্তরাষ্ট্র এই বিষয়টিকে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রসঙ্গের বাইরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।

বুধবার রুশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেছিলেন, রাশিয়া পারমাণবিক যুদ্ধের জন্য কৌশলগত দিকে থেকে প্রস্তুত রয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি ইউক্রেনে সৈন্য পাঠায়, তাহলে তা চলমান সংঘাতের উল্লেখযোগ্য সম্প্রসারণ হিসেবে বিবেচিত হবে।

পুতিনের এই মন্তব্যের সমালোচনা করে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জিন-পিয়েরে সাংবাদিকদের বলেছেন, ওয়াশিংটন বুঝতে পেরেছে, রুশ নেতা মস্কোর পারমাণবিক মতবাদকে পুনরায় সমর্থন করেছেন। ইউক্রেন সংঘাতজুড়ে প্রেসিডেন্ট পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে ‘‘বেপরোয়া এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন’’ বাগাড়ম্বর করেছেন।

বৃহস্পতিবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পুতিন এই বিষয়ে একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। পরিস্থিতির পুনর্বিবেচনা করে রাশিয়া তাত্ত্বিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

পেসকভ বলেছেন, পুতিন একই সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের ধারণাটি তার মাথায় কখনই আসেনি বলেও জানিয়েছেন।

হোয়াইট হাউসের মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্রেমলিনের এই মুখপাত্র বলেন, ‘‘এই বিষয়টিকে ইচ্ছাকৃতভাবে প্রেক্ষাপটের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে হোয়াইট হাউস। পুতিন ওই সাক্ষাৎকারে পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার সম্পর্কে কোনও হুমকি দেননি। প্রেসিডেন্ট কেবল সেই কারণগুলোর কথা বলছিলেন; যা পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারকে অনিবার্য করে তুলতে পারে।’’

‘‘এসব কারণই আমাদের সংশ্লিষ্ট নথিতে আছে, যা বিশ্বজুড়েও সুপরিচিত। এছাড়া পশ্চিমের সবাই ইচ্ছাকৃতভাবে তার মন্তব্যকে আমলে নিতে ব্যর্থ হয়েছে যে, কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র (ইউক্রেনে) ব্যবহার করার কথা তার মাথায় কখনই আসেনি। বিভিন্ন যুদ্ধের পরিস্থিতিতে এই অস্ত্রের বিকাশ ঘটেছে। কিন্তু তারা প্রেক্ষাপটের বাইরে নিয়ে যাচ্ছে তার মন্তব্যকে। এমনকি তারা প্রেসিডেন্ট পুতিনের কথা শুনতে অনিচ্ছুক।

সূত্র: রয়টার্স।

Exit mobile version