parbattanews

পার্বত্যনিউজে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

স্টাফ রিপোর্টার:
গত ১৯ মে ২০১৮, সন্ধ্যা ৮:২৫ মিনিটে পার্বত্য নিউজ অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত “পিসিপি’র সমাবেশে যোগ দিতে সাধারণ গ্রামবাসীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন” শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনটিকে সম্পুর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা ও বানোয়াট, কাল্পনিক ও মনগড়াভাবে প্রকাশিত হয়েছে দাবী করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা।

পার্বত্যনিউজে পাঠানো এক বিবৃতি তিনি বলেন, “প্রকৃত অর্থে পার্বত্যনিউজের কোন প্রতিবেদকের সাথে আমার এ বিষয়ে কোন কথা হয়নি” এবং এ ধরনের কোন বক্তব্যও আমি দিইনি দাবী করে প্রতিবেদন থেকে তার বক্তব্যের অংশটি প্রত্যাহার ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও বক্তব্য উপস্থাপনের জন্যও মিডিয়ার প্রতি পরামর্শ দেন।

তার দাবী পার্বত্য চট্টগ্রামে পূর্ণ¯স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনরত আপোষহীন ছাত্র সংগঠন বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)-এর আদর্শিক ও নৈতিকতা কার্যক্রমকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য একটি মহল নানাভাবে বিভিন্ন মিডিয়াকে ব্যবহার করছে। পার্বত্যনিউজে এই বানোয়াট বক্তব্যের মধ্য দিয়েই তা প্রমাণিত হয়েছে।

ইউপিডিএফ-এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাত্র-যুব-নারী তথা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতান্ত্রিকভাবে লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছে কাউকে হুমকি-প্রলোভন-ভয়ভীত দেখিয়ে কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে না বলে দাবী করেন।

প্রতিবেদকের বক্তব্য
প্রতিবেদনটি স্থানীয় ভুক্তভোগী মানুষের বক্তব্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে। এখানে প্রতিবেদকের নিজস্ব কোন বক্তব্য নেই। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বস্তুনিষ্ঠতার জন্য এবং প্রতিবেদনটি যাতে একতরফা না হয়, তার জন্যেই পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরার বক্তব্যও নেওয়া হয়। শুধু এ প্রতিবেদক নয়, আরো অনেক সাংবাদিককে অমল ত্রিপুরা পিসিপি’র ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচীতে যোগ দিতে পাহাড়ি গ্রামবাসীদের নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ অস্বীকার করে বক্তব্য দিয়েছেন।

এ ধরনের প্রতিবেদন শুধু পার্বত্যনিউজে প্রকাশিত হয়নি, একাধিক অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। পার্বত্য নিউজের প্রতিবেদনটি বস্তুনিষ্ঠ ছিল বলেই প্রতিবাদ এসেছে। এটাই বস্তনিষ্ঠ সংবাদ ও সাংবাদিকতার সার্থকতা। মূলত: পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা এ প্রতিবেদন থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারের মাধ্যমে প্রতিবেদনটির বস্তুনিষ্ঠতা স্বীকার করে নিয়েছেন।

Exit mobile version