parbattanews

পার্বত্যাঞ্চলের যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহবান চিনু’র

RANGAMATI jP PIC01 copy
স্টাফ রিপোর্টার:

পার্বত্যাঞ্চলের যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নিত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আহবান জানিয়েছে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু। তিনি বলেন, বর্তমানের সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সাথে সাথে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। কিন্তু একটি রাজাকার গোষ্ঠী বিএনপি-জামায়তের নামে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে চলেছে। স্বাধীন দেশে এসব ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে আজও বাংলাদেশের মানুষ জিম্মি হয়ে আছে। তাদের প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে পার্বত্যাঞ্চলের মুক্তিযোদ্ধা ও সচেতন নাগরিকদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে ফিরোজা বেগম চিনু এসব কথা বলেন।

এসময় রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা ও নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা, রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সামসুল আরফিন, জেলা পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জাকির হোসেন, রাঙামাটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রবার্ট রনাল পিন্টু উপস্থিত ছিলেন।

রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেন, আমি রাঙামাটি জেলা পরিষদের ৫ বছর ১০মাস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়ীত্ব পালন কালে চেষ্টা করেছি মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের সহযোগিতা করেতে। তিনি নব নিযুক্ত চেয়ারম্যানকে পরিষদের বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের  সন্তানদের অগ্রাধীকার দেয়ার আহবান জানান।

নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা  বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে সুবিধা বঞ্চিত মানুষকে সাহয্য-সহযোগিতা করে আমার উপর অর্পীত দায়ীত্ব পালন করার চেষ্টা করবো। বিশেষ করে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাসহ উন্নয়নের দিকে পার্বত্যাঞ্চলেক এগিয়ে নিতে পরিষদকে সহযোগিতা করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক সামসুল আরফিন বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের জমি সংক্রান্ত যেসব জটিলতা রয়েছে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদের সাথে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তা দ্রুত নিরসণ করা হবে।

আলোচনা সভা শেষে রাঙামাটিন পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধ ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের আর্থিক সহয়তা প্রদান করা হয়।

এদিকে সারা দেশের মতো যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় রাঙামাটিতে উদযাপিত হয়েছে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে সকালে সরকারি ও বেসরকারিভাবে দিনব্যাপী পালিত হয় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা। ভোরে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে জেলা কেন্দ্রীয় ও উপজেলা শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য দেয়া হয়। সকাল ৮টায় রাঙামাটি চিংহ্লামং চৌধুরী মারী স্টেডিয়ামে সরকারিভাবে আনুষ্ঠানিক জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ ও ক্রীড়ানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সরকারিভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন। এসময় পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। দুপুরে সিনেমা হলগুলোতে প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনী  ও বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে সাংস্কৃতিক, পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

Exit mobile version