parbattanews

পার্বত্যাঞ্চলের  ২০৯ কিমি অরক্ষিত সীমান্তের মাঝে ৫১ বিজিবির আওতায় এসেছে ১৭০ কিমি: কর্ণেল সাজ্জাদ

Dighinala picture(02) 29-08-2016 copy

দিঘীনালা প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল সাজ্জাদ হোসেন’ পিএসসি বলেছেন, পার্বত্য এলাকায় ২ শত ৯ কিলোমিটার সীমান্ত অরক্ষিত ছিল। বর্তমানে ৫১ বিজিবি স্থাপন হওয়ার পর ১ শত ৭০ কিলোমিটার সীমান্ত চৌকির আওতায় এসেছে। এসব সীমান্ত পথ দিয়ে কোন প্রকার মাদক, অস্ত্র পাচার হয়ে থাকলে আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করতে পারেন, আমরা তা দমন করবো। সোমবার দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়া ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, ‘বাবুছড়া ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন স্থাপনের ঘটনায় উচ্ছেদ হওয়া ২১ পরিবারকেই পূর্ণবাসন করা হবে। পূর্ণবাসনের আওতায় সবাইকে মানসম্মত বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হবে। প্রত্যেকের ক্ষতিপূরণ জমা রয়েছে। এখন শুধু দরকার উচ্ছেদ হওয়া পরিবার, স্থানীয় গণ্যমান্য ও জনপ্রতিনিধিদের ইতিবাচক মনোভাব। ইতিবাচক মনোভাব থাকলেই তা কেবল বাস্তবায়ন সম্ভব।

বাবুছড়া ৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. কামাল আহমেদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নব কমল চাকমা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শহীদ হোসেন চৌধুরী, দীঘিনালা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম রাজু, দীঘিনালা ইউপি চেয়ারম্যান চন্দ্র রঞ্জন চাকমা, বাবুছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সুগতপ্রিয় চাকমা, পরিতোষ চাকমা, সত্যেন্দ্রীয় চাকমা, প্রান্তর চাকমা প্রমূখ।

উল্লেখ্য, পাহাড়ের অরক্ষিত সীমান্ত সুরক্ষার স্বার্থে খাগড়াছড়ির দিঘীনালায় একটি বিজিবি ব্যাটালিয়ন স্থাপনের নিমিত্তে  ৪৫ একর জমি অধিগ্রহনের কাজ শুরু হয় ১৯৯৫ সনে। সকল আইনি প্রক্রিয়া ও যাচাই-বাছাই শেষে অধিগ্রহনের অনুমতি দেওয়া হয় ২০০৫ সনে। কিন্তু নিজেদের বসত-বাড়ী থেকে উচ্ছেদ হতে হবে এমন আশঙ্কায় স্থানীয় পাহাড়ীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতে একটি রীট পিটিশন দায়ের করা হয়। রীট পিটিশনে উল্লেখীত জায়গা বাদ দিয়ে জেলা প্রশাসক  গত ২০১৪ সনের ১৪ মে বিজিবিকে ২৯.৮১ একর ভূমি কাগজপত্রসহ হস্তান্তর করে। একই বছরের ১৫ মে বাবুছড়ায় নতুন ব্যাটালিয়নটি কার্যক্রম শুরু করে।

Exit mobile version