parbattanews

পার্বত্যাঞ্চলে যক্ষ্মারোগ দূর করতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে

Pic-21-07-13-2

আলমগীর মানিক,রাঙামাটি:
পার্বত্য জেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে যক্ষ্মা রোগ দূর করতে সম্বলিত ভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। আর সচেতন নাগরিক যদি যক্ষ্মা রোগ সর্ম্পকে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারে তা হলে দেশে যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে পারবে।
গতকাল ২১ জুলাই রাঙ্গামাটি জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি নাটাবের আয়োজনে যক্ষ্মারোগ নিয়ন্ত্রণে ইমামদের ভূমিকা শীর্ষক জেলা এ্যাডভোকেসি সভায় বক্তরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নাটাবের রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সভাপতি ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদ, রাঙ্গামাটি বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের জুনিয়র কনসালটেন্ট ডা. নুপুর কান্তি দাশ, নাটাবের রাঙ্গামাটি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ জাহান মজুমদার। অনুষ্ঠানে সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, নাটাবের কেন্দ্রীয় ফিল্ড ল্যাবেল ষ্টাফ মোহাম্মদ হেলাল। ইমামদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, ইমাম সমিতির সভাপতি ও নাটাবের সদস্য মাওলানা আবদুল জলিল।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ যক্ষ্মা একটি অন্যতম ঘাতক ব্যাধি যা প্রতি বছর বহু লোকের মৃত্যু ঘটায়। আর সচেতনতার অভাব এর প্রধান কারণ। যক্ষ্মারোগীর কফ, হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে জীবানু বের হয়ে বাতাসে মিশে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তা সুস্থ ব্যক্তির ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং সুস্থ্য ব্যক্তিকে আক্রান্ত করে। যখন কোন ব্যক্তি যক্ষ্মার লক্ষণ থাকা সত্ত্বেও সময়মত কফ পরীক্ষা ও ডাক্তারের পরামর্শের জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন না, তখন সেই ব্যক্তির কাছ থেকে যক্ষ্মারোগ অন্যের দেহে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। তাই যক্ষ্মা নিরাময়ের ক্ষেত্রে নিয়মিত ও পূর্ণ মেয়াদে চিকিৎসা সম্পন্ন করা অপরিহার্য। আর এই ক্ষেত্রে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী বিভিন্ন এনজিও এর সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। তাই যক্ষ্মা রোগ নির্মূল করতে সম্মেলিত ভাবে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সবাইকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যেতে হবে। আর সম্মেলিত ভাবে কাজ করতে পারলে যক্ষ্মারোগ নিমূল করা সম্ভব।

Exit mobile version