parbattanews

পার্বত্যাঞ্চলে রক্ষণাবেক্ষণ ও সচেতনতার অভাবে একেরপর এক মৃত্যু হচ্ছে বন্যপ্রাণীর: নজরদারি নেই বনবিভাগের

Hatai

কবির হোসেন, কাপ্তাই প্রতিনিধিঃ
পার্বত্যাঞ্চলের বন্যপ্রাণীর সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে একে একে মৃত্যু হয়ে প্রাণী সম্পদ বিলুপ্ত হতে চলেছে। বনবিভাগের একটি সূত্রে জানাযায়, তিন পার্বত্য জেলাসহ গোটা বাংলাদেশে ২৬৯টি হাতি রয়েছে। তাঁর মধ্যে পার্বত্য রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই ও রাঙামাটিসদর জীবতলী এলাকায় তিনটি হাতি শিকারী ও বৈদ্যুতিক তাঁরে জড়িয়ে ইতিমধ্যে মারাগেছে।

গত চারমাস পূর্বে একটি হাতি শিকারীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় কাপ্তাই হ্রদে ভাঁসতে দেখে বনবিভাগ। পরে তা উদ্ধার করে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে শত চেষ্টা করেও বিশাল আকৃতির বন্যহাতিটিকে শেষ রক্ষা করতে পারেনি।

এছাড়া ১জুলাই রাঙামাটি সদর জীবতলী এলাকায় সুউচ্চ পাহাড়ের উপর বৈদ্যুতিক তাঁরে জড়িয়ে একসাথে আরো দুটি হাতির করুণ মৃত্যু হয়েছে। শুধু বন্যহাতি বিলুপ্ত হচ্ছেনা পাশাপাশি, হরিণ, সাপ, বানর, হনুমানসহ বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী পার্বত্য চট্রগ্রাম হতে ইতিমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

অভিজ্ঞ মহলের মতে, পার্বত্যাঞ্চলের বনজ সম্পদ বিলুপ্ত হয়ে নেড়াভূমিতে পরিণত হওয়ায় এ ঘটনা ঘটছে। একে একে বিশাল পাহাড় জুড়ে জুম চাষের ফলে বৃক্ষশুন্য করে তাতে আগুনধরিয়ে দেওয়ার ফলে বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধবংস হয়ে গেছে। অনেক বন্যপ্রাণী বনের মধ্যে তাদের খাদ্য না পেয়ে লোকালয়ে এসে তাÐব চালিয়ে মানুষের ফসল নষ্ট করে চলে যায় এবং জুম নষ্ট করার ফলে অসাধু শিকারীরা তঁদের সম্পদ রক্ষা করার জন্য এসকল বন্যসম্পদকে ঘায়েল করার জন্য বিভিন্ন ফাঁদ পেতে হত্যা করছে বলে অভিজ্ঞমহল সূত্র মতে জানাযায়। এতে যে কত বন্যপ্রাণী একে একে হত্যা করা হচ্ছে তা বন বিভাগের নিকট সঠিক কোন তথ্য নেই বললেই চলে। বন বিভাগের উচ্চমহল এ ব্যাপারে সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেনি।

এদিকে বন বিভাগের এসব ব্যাপারে কোন মাথা ব্যাথা নেই বললেই চলে। তাদের জানা মতে কোন প্রাণীর দুর্ঘটনা হলে বা কেউ খবর দিলে চাকরি রক্ষার্থে ছুটে যায়। তাছাড়া এ নিয়ে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি, প্রাণী সম্পদ রক্ষা, আমাদের ঐতিহ্য, প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে সে সকল বিষয়ে কখনও সভা বা সেমিনার করে সচেতন করা হয়নি।

এলাকার অভিজ্ঞ মহল মনে করেন, বনবিভাগ হতে জোরালোভাবে যদি সকল স্তরে বা প্রচারের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হত তাহলে প্রাণী সম্পদের এভাবে মৃত্যু হতনা।

এছাড়া যেহারে বনের সম্পদ ধবংস করে জুম চাষ করা হচ্ছে তঁতে করে আগামী কয়েকটি বছরের মধ্যে পার্বত্যাঞ্চলের সকল প্রাণী খাদ্যের অভাবে মারা পড়বে। পার্বত্যাঞ্চলের জৈববৈচিত্র্য ধবংস হয়ে যাবে বলে অনেকেই মত প্রকাশ করে।

Exit mobile version