পার্বত্য অঞ্চলে র্যাবের ব্যাটেলিয়ন স্থাপনের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ পিবিসিপি’র
পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের দীঘিনালা উপদেষ্টা মো. মুনসুর আলম হিরা বিবৃতিতে বলেন স্বাধীনতার পর থেকে এই পার্বত্য এলাকায় একটি কুচক্রি মহল পার্বত্য অঞ্চলকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা রাষ্ট্র বানানোর জন্য প্রতিনিয়ত গভির ষরযন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
এই চক্রান্তকারীদের আইনের আওতায় আনার দাবিতে ১৯৯১সাল থেকে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ অদ্য তারিখ পর্যন্ত পার্বত্য এলাকার সকল নিরিহ পাহাড়ি বাঙালিকে সাথে নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
আমরা মনে করি এই র্যাব ব্যাটেলিয়ন স্থাপনের মধ্য দিয়ে পার্বত্য এলাকার অবৈধ অস্ত্র, চাঁদিবাজি, গুম খুন সহ সকল ধরণের অপরাদ কমে আসবে।
তাই অতি দ্রুত র্যাব সহ যৌথ বাহিনির সমন্বয়ে পার্বত্য অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করে সকল অপরাধীকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবী জানান পিবিসিপি নেতৃবৃন্দরা।
বিবৃতিতে পিবিসিপির দীঘিনালা উপজেলার সভাপতি আল আমিন বলেন, যখন সরকার পার্বত্য অঞ্চলে অপরাধ দমনে র্যাব ব্যাটেলিয়ন স্থাপনের উদ্দ্যোগ নিয়েছে ঠিক তখনি পার্বত্য অঞ্চলের ৪টি সন্ত্রাসী সংগঠন র্যাব ব্যাটেলিয়ন গঠনের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয়া রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তারা আবারও প্রমান করেছে যে তারাই এই অবৈধ অস্ত্রের মালিক, কারা এই অঞ্চলে চাঁদা বাজি করে,কারা গুম খুনের সাথে জরিত তারা তাদের এ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিজেদের কুকর্মের সাক্ষি নিজেরাই দিয়েছে বলে মনে করে পিবিসিপি। তাই অতি দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
উক্ত বিবৃতিতে পিবিসিপি,র দীঘিনালার সাধারণ সম্পাদক শামীম আব্দুল্লাহ বলেন সরকার যদি পার্বত্য সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে ব্যার্থ হয়, তাহলে পার্বত্য অঞ্চলের সকল জনগোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে পিবিসিপি সরকারকে বাধ্য করবে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের কাঠগড়ায় নিয়ে আসতে।
পরিশেষে পিবিসিপি’র সকল নেতা কর্মীগণের পক্ষ থেকে পার্বত্য অঞ্চলের প্রসাশন সহ সরকারকে ধন্যবাদ জানান র্যাব ব্যাটেলিয়নের উদ্যোগ গহণ করায়।