পার্বত্য এলাকায় সকল সম্প্রদায়ের জনকল্যানে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করা হবে: গোলাম আকবর
জমির উদ্দিন:
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার বলেছেন, পার্বত্য এলাকার জন কল্যানে আধিবাসীদের অধিকার রক্ষায় সকল সম্প্রদায়ের সাথে আলাপ আলোচনা করে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করবে বিএনপি। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ বা শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে পাতানো নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেনা বিএনপি। গতকাল সোমবার বিকালে বান্দরবান পর্যটন মোটেল অডিটরিয়ামে বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রেস ব্রিফিং কালে সাংবাদিবদের এসব কথা বলেন। পরে তিনি পর্যটন মোটলে জেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, বিএনপি সর্বদা পার্বত্যাঞ্চলেরর উন্নয়নে অত্যান্ত আন্তরিক। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পার্বত্য বাসীদের জীবনমান উন্নয়নের কথা চিন্তা করে তিন পার্বত্য জেলায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড গঠন করে ছিলেন। তারই ধারা বাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন,আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করলে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্দ্যেদ নেবে বিএনপি। সকল সম্প্রদায়ের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে চুক্তি পরীক্ষা নিরিক্ষা করে সকলের মঙ্গলের জন্য এবং এলাকার শান্তি শৃংখলা ফিরে আনতে ও সকল সম্প্রায়ের অধিকার রক্ষায় যা যা করা দরকার সব কিছুর উদ্দ্যেগ নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরতদের স্ব স্ব জাতিস্বত্তা, কৃষ্টি ও ভাষার পরিচয়ে সুযোগ করে দিয়েছিলেন বিএনপি প্রতিষ্টাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ সংবিধান সংশোধন করেও সংবিধান অনুযায়ী কাজ করেনা। এ সরকার সব কিছু দলীয় করন ও অসংবিধানিক কাজ কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সংবিধান নিয়ে একেক মন্ত্রী একেক রকম বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। সরকার সংবিধান নিয়ে জনগনকে বিভ্রন্তির মধ্যে রেখেছে। তিনি বলেন, নির্দলীয় বা তত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া আওয়ামীলীগ বা শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে পাতানো নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেনা বিএনপি। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আর্ন্তজতিকভাবে গ্রহন যোগ্য হবেনা। তাই বিএনপি দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবেনা। তিনি আরও বলেন, আর্ন্তজাতিক সম্প্রদায় সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজন করতে বলা হলেও আওয়ামীলীগ সংলাপে আগ্রহী নয়। আওয়ামীলীগ জানে সংলাপের মাধ্যমে সুস্থ সুন্দর জাতীয় নির্বাচন হলে বিএনপি অধিক হরে সংসদীয় আসনে জয় লাভ করবে এবং শোচনীয় ভাবে আওয়ামীলীগ পরাজিত হবে।
তিনি আশা করেন ঈদুল আযাহার আগে আওয়ামীলীগ সরকরের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। অন্যতায় তত্বাবধায়ক বা নিরপক্ষ সরকারের দাবীতে ঈদুল আযাহার পরে লাগাতার আন্দোলনে মাঠে নামবে বিএনপি সহ ১৮ দলীয় জোট। জেলা বিএনপির কর্মী সম্মেলন সাচিং প্রু জেরীর সভাপত্বি অন্যন্যদের মাঝে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদিকা মাম্যাচিং, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহাবুবুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক মো. ওসমান গনি, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, পৌর মেয়র মোহাম্মদ জাবেদ রেজা, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলমসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
Facebook Comment
জিয়াউর রহমান নীতি পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও জনকল্যাণ করতে পারেনা। কারণ পার্বত্য চট্টগ্রামে জিয়াউর রহমান নীতি নামে সেতলার অনুপ্রবেশ বা ইসলামীকরণ এবং জুম্মধ্বংস। এই এলাকায় সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও জনকল্যানের স্বার্থে যেটা করা দরকার তা হোল নিম্নরূপঃ
১ “অস্থায়ী বাসিন্দা (সেটলার) ও জুম্মদের মধ্যে যে ভূমি – বিরোধ আছে তা নিস্পত্তি করে জুম্মদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করা;
২ “অস্থায়ী বাসিন্দাদের” পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করে সমতলে উপযুক্তভাবে পুনর্বাসন করা;
৩ পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সব “অস্থায়ী (বাংলাদেশী) সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনীর ক্যাম্প” প্রত্যাহার করা এবং পার্বত্য চট্টগ্রামকে বে-সামরিকীকরণ করা;
৪ পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকার (পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদ) ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক প্রতিস্থানসমূহকে ক্ষমতায়ণ করে মজভুত করা এবং “স্থায়ী বাসিন্দাদের” নিয়ে এই এলাকার ভোটার লিস্ট তৈরি করে গণতান্ত্রিকভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাবস্থা করা;
৫ জুম্ম ও অন্যান্য “স্থায়ী বাসিন্দাদের” নিয়ে স্থানীয় পুলিশ গঠন করা।
রহমান নীতি বাদ দিয়ে যদি বিএনপি উপরের পাঁচটা পয়েন্ট নিয়ে এগোয় তাহলে আমিও বিএনপিকে ভোট দেবো। অন্যথায় পার্বত্য চট্টগ্রামের কোন জুম্ম বিএনপিকে ভোট দেবেনা। বিএনপি-র পরিবর্তে তারা তাদের নিজেদের পার্টিকে ভোট দেবে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল সম্প্রদায়ের উন্নয়ন ও জনকল্যানের স্বার্থে যেটা করা দরকার তা হোল নিম্নরূপঃ
১ “অস্থায়ী বাসিন্দা (সেটলার) ও জুম্মদের মধ্যে যে ভূমি–বিরোধ আছে তা নিস্পত্তি করে জুম্মদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করা;
২ “অস্থায়ী বাসিন্দাদের” পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে প্রত্যাহার করা এবং সমতলে তাদের সুষ্ঠু পুনর্বাসন করা;
৩ পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সব “অস্থায়ী (বাংলাদেশী) সামরিক ও আধাসামরিক বাহিনীর ক্যাম্প” প্রত্যাহার করা এবং এই এলাকাকে বে-সামরিকীকরণ করা;
৪ পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থানীয় সরকার (পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ ও পার্বত্য জেলা পরিষদ) ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক প্রতিস্থানসমূহকে ক্ষমতায়ণ করে মজভুত করা এবং “স্থায়ী বাসিন্দাদের” নিয়ে এই এলাকার ভোটার লিস্ট তৈরি করে গণতান্ত্রিকভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাবস্থা করা;
৫ জুম্ম ও অন্যান্য “স্থায়ী বাসিন্দাদের” নিয়ে স্থানীয় পুলিশ গঠন করা;
৬ জুম্মদের “আদিবাসী” হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা।
যে রাজনতিক দল তার নির্বাচনী ইস্তহারে উপরের ছয়টি পয়েন্ট উল্লেখ করে আমরা কেবল সেই পার্টিকে ভোট দেবো।
parbotto chotrograme setelar bangali probes koriyechilo jiyaur rahman.tar karone aj amara nisso hoye achi