parbattanews

পার্বত্য চট্টগ্রামের নাগরিক সনদে উপজাতিদের আদিবাসী আখ্যা না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়

পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট:
পার্বত্য চট্টগ্রামের নাগরিক সনদে ও দাপ্তরিক কাজে উপজাতীয় বাসিন্দাদের আদিবাসী আখ্যা না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর পরিবর্তে সংবিধানে উল্লিখিত ‌’উপজাতি’, ‌’ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা’, ‌’নৃগোষ্ঠী’ ও ‘সম্প্রদায়’ হিসাবে উল্লেখ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

গত ২৩ অক্টোবর পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রদত্ত এক সার্কুলারে এই নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, তিন পার্বত্য জেলা প্রশাসক, তিন পার্বত্য সার্কেল চিফকে এই নির্দেশ কার্যকরী করার জন্য অবগত করা হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়-২ অধিশাখার উপ-সচিব(সমন্বয়-২) এ এস এম শাহেন রেজা স্মারক নং ২৯.০০.০০০০.২২৪.২৭.১৬.২০১৬-৭৪৬,তারিখ-২৩ অক্টোবর-২০১৭ মূলে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির মং সার্কেল চিফ তার ব্যবহৃত স্থায়ী নাগরিক সনদে পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় বাসিন্দাদের ‘আদিবাসী’ বলে উল্লেখ করতে শুরু করেছিলেন। এ নিয়ে চলতি বছরের শুরুতে পার্বত্যনিউজে একটি রিপোর্ট হলে বিষয়টি সর্বত্র আলোচিত হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার সূত্রে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অবগত হয়।

মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়, ”পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি তথা শান্তিচুক্তির “খ” খন্ডের ১ নং ধারার পরিষদের আইনে “উপজাতি” শব্দটি বলবৎ থাকবে মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশের সংবিধানের ২৩ ক অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে “রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ,উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা করিবেন”।

পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী বিভিন্ন উপজাতীয় সম্প্রদায়কে সংবিধানে উল্লেখিত ‘উপজাতি’, ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’, ‘নৃ-গোষ্ঠী’ ও সম্প্রদায়-এর বাইরে নাগরিক সনদ প্রদানে বা দাপ্তরিক কাজে “আদিবাসী” নামে অভিহিত করার অবকাশ নাই মর্মে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তা কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

পার্বত্যনিউজের অনুসন্ধানে আরো দেখা গেছে, শুধু মং সার্কেল নয়, চাকমা সার্কেল চিফও তার দাপ্তরিক ডকুমেন্টে উপজাতীয়দের আদিবাসী বলে আখ্যা দিচ্ছেন।

Exit mobile version