পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনও ত্রিপুরার স্বাধীনতাকামীদের ১৬টি ঘাঁটি রয়েছে- ত্রিপুরা পুলিশের মহাপরিচালক

nltf

পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট:

বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এখনও ত্রিপুরার স্বাধীনতাকামীদের ১৬টি ক্যাম্প বা ঘাঁটি রয়েছে বলে দাবি করেছেন ত্রিপুরা পুলিশের মহাপরিচালক বালাসুব্রামানিয়াম। এবং এ ঘাঁটিগুলোর সবই পার্বত্য চট্টগ্রামে অবস্থিত বলে তাঁর দাবী।

পিটিআই জানায়, নিষিদ্ধ ঘোষিত ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা (এনএলএফটি) এবং অল ত্রিপুরা টাইগার ফোর্স (এটিটিএফ) বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসব ক্যাম্প পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ ওই পুলিশ কর্তার। তার দাবি, পার্বত্য চট্টগ্রামেই মূলত এসব ক্যাম্প অবস্থিত। তিনি দাবী করেছেন ৪-৬টি ক্যাম্প বাংলাদেশ-ভারত বর্ডারে অবস্থিত হলেও অন্যগুলো অনেক ভেতরে অবস্থিত। এনএলটিএফ এর প্রধান বিশ্বমহান দেববর্মা শক্তিশালী এ ক্যাম্পগুলো নিয়ন্ত্রণ করেন। এছাড়াই দুইজন মহিলার নেতৃত্বে একটি এএলটিএফ ক্যাম্পও রয়েছে এর মধ্যে। ত্রিপুরা- মিজোরাম- বাংলাদেশের সংযুক্ত বর্ডার দিয়ে এ সকল সশস্ত্রযোদ্ধারা ক্রসবর্ডার এক্টিভিটি চালিয়ে আসছে। আসাম রাইফেলসসহ নিরাপত্তা বাহিনীগুলো এই তৎপরতা বন্ধে ব্যাপক চেষ্টা করে যাচ্ছে বলেও তিনি দাবী করেছেন।

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে জঙ্গীগোষ্ঠীর ভারতে প্রবেশের সুযোগ আছে কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,  বিএসএফ ও জেলা পুলিশ এ ব্যাপারে কঠোর নজরদারী বহাল রেখেছে যাতে এ ধরণের কোনো সুযোগ নেই।

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ঘাঁটিগুলোর চারটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় এবং অন্যগুলো দূরবর্তী স্থানে অবস্থিত।

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্বাধীনতাকামীদের দমনে ভারতকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করলেও দেশটির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা মাঝে মাঝেই এদেশে ঘাঁটি থাকার অভিযোগ করে থাকে। বাংলাদেশ সরকার সব সময় এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, বাংলাদেশ কখনোই তার ভূমিতে বিদেশী কোনো দেশের বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতমূলক তৎপরতা বরদাশত করে না।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

One Reply to “পার্বত্য চট্টগ্রামে এখনও ত্রিপুরার স্বাধীনতাকামীদের ১৬টি ঘাঁটি রয়েছে- ত্রিপুরা পুলিশের মহাপরিচালক”

  1. এতদিন (দীর্ঘ ৫-১০ বছর) এ খবর শুনা যায় নি। এখন ৫ই জানুয়ারীর বাংলাদেশের নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রদত্ত এসব বক্তব্য উদ্দেশ্য মূলক।
    এটা হলো বাংলাদেশে ভারতীয় বাহিণীর ঢুকার ক্ষেত্র তৈরী করে রাখা।
    আমাদের পররাষ্ট্র বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নীবে কেন? প্রতিবাদ নেই কেন? ঐ এস.পি কে ধরে নিয়ে এসে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুরানো হোক এবং বলা হোক শালা বের কর কোথায় সেই ঘাঁটি। না হয় কান ধর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন