পার্বত্য চট্টগ্রামে পারিবারিক আদালত গঠন প্রয়োজন : সমঅধিকার আন্দোলন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
তিন পার্বত্য জেলায় বসবাসকারী বাংলাদেশী উপজাতি ও বাঙালি নাগরিকদের সামাজিক বিচার আচার ও সালিশ বৈঠকের চাহিদা মেটানোর জন্য পাহাড়ে সরকার ঘোষিত পারিবারিক আদালত গঠন করা একান্ত প্রয়োজন। এছাড়া পাহাড়ের বঞ্চিত ও অবহেলিত শ্রেণীর জনগণের মানবাধিকার ও সামাজিক মান মর্যাদা রক্ষিত হবে না। পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ স্বাক্ষরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে উপরোক্ত অভিমত প্রদান করা হয়েছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে সাবেক শান্তি বাহিনীর কমান্ডার এবং পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান সন্তুলারমা পাহাড়ে পারিবারিক আদালত গঠনের প্রয়োজন নেই বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার প্রতিবাদে সমঅধিকার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত দাবী জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, পাহাড়ে এখনও দেওয়ান, খিশা, তালুকদার প্রভৃতি সম্প্রদায় একক আধিপত্য বিস্তার করে চলেছেন। সেখানে গাবুর/মজুর/দরিদ্র শ্রেণীর উপজাতিদের ন্যূনতম মানবাধিকার নাই। তাছাড়া, হেডম্যান, কার্বারি, সার্কেল চীফগণ পাহাড়ে বংশ পরমপরায় নেতৃত্ব ও কতৃত্বে থাকাতে সেখানে গণতন্ত্রের এবং মানবাধিকারের ন্যূনতম চর্চা হয় না। অনেকেই স্থানীয় হেডম্যান-কার্বারিদের কাছে ন্যায় বিচার পান না। আবার সমাজের রক্তচক্ষুর কারণে অনেক উপজাতি নারী-পুরুষ বাংলাদেশ সরকারের আইন, আদালতের সুযোগটুকুও পান না। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলনের সভাপতি জনাব মোস্তাক আহম্মেদ চৌধুরী, মহাসচিব জনাব মনিরুজ্জামান মনির এবং কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ জাহাঙ্গীর কামাল স্বাক্ষরিত উক্ত যুক্ত বিবৃতিতে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড এন্ড সার্ভিসেস ফর ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এর কর্মকর্তাদেরকে পাহাড়ে অবিলম্বে আইন মন্ত্রণালয় এবং উচ্চ আদালতের অভিপ্রায় মোতাবেক তিন পার্বত্য জেলা বাসির মানবাধিকার রক্ষায় পারিবারিক আদালত গঠনের জন্য আকুল আবেদন জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নেতৃবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীর সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।