parbattanews

পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশীদের ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি প্রত্যাহারের দাবি

Rangamati Press Confarence Pic01

ফাতেমা জান্নাত মুমু:
পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশী নাগরিকদের ভ্রমণের ওপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরোপ করা কড়াকড়ি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের ‘বিশিষ্ট নাগরিকেরা’ বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জারি করা ওই পরিপত্র সংবিধান পরিপন্থী। সরকারের এ ধরনের বিধিনিষেধ বৈষম্যমূলক ও বিমাতাসূলভ। অবিলম্বে এ আদেশ প্রত্যাহার করে নিতে হবে। অন্যথায় নিয়মতান্ত্রিভাবে কঠোর গণআন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ। প্রয়োজনে মানবাধিকার লংঘনের দায়ে সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব আমরা।’

সোমবার সকাল ১০টায় রঙামাটি শহরের রাজবাড়ির সাবারাং রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের ‘বিশিষ্ট নাগরিকেরা’।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান। লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান নারী নেত্রী টুকু তালুকদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মংসানু চৌধুরী, বিশিষ্ট রাজনীতিক বিজয় কেতন চাকমা ও খাগড়াছড়ির উন্নয়ন সংগঠক শেফালিকা ত্রিপুরাসহ তিন পার্বত্য জেলার উন্নয়ন, ব্যবসায়ী, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘চলতি বছর ৭ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত বিদেশী নাগরিকদের পার্বত্য চট্টগ্রামে ভ্রমণের ওপর কড়াকড়ি আরোপসহ বর্ণবাদী ও বৈষম্যমূলক বেশ কিছু সিদ্ধান্তে দেশের নাগরিক সমাজ প্রবল আপত্তি তোলে। পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির পক্ষেও সেসব বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদসহ সেগুলো বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে বিভিন্ন মহলের আপত্তি ও প্রতিবাদের মুখে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২২ মার্চ অনুষ্ঠিত সভায় কিছু বিষয়ে সংশোধনী আনা হলেও বস্তুত: সেগুলোর গুণগত কোনো কিছুর পরিবর্তন নেই।’

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা পরিপত্র সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক, বিমাতাসূলভ ও লজ্জাজনক। এটা কখনও মেনে নেয়া যেতে পারে না। অবিলম্বে এ আদেশ প্রত্যাহার করে নিতে হবে। অন্যথায় নিয়মতান্ত্রিকভাবে কঠোর গণআন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণ। প্রয়োজনে মানবাধিকার লংঘনের দায়ে সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব আমরা।’

Exit mobile version