parbattanews

পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সেনাবাহিনী নিয়ে একটি গোষ্ঠী গভীর চক্রান্তে লিপ্ত: ব্রি. জে. সাজেদুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, রামগড়:

গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম সাজেদুল ইসলাম এ এফ ডব্লিও সি, পি এস সি, জি বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সেনাবাহিনীকে নিয়ে একটি উপজাতি গোষ্ঠী গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

তারা এখানকার পাহাড়ি বাঙালি জনগোষ্ঠীর কল্যাণ চায় না, উন্নয়ন চায় না। এ চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে জাতি ধর্ম  নির্বিশেষে সবাইকে সন্মিলিতভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।

সোমবার(১৯ নভেম্বর) রামগড় পৌর ভবনে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়ন সংক্রান্ত এক মত বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অনষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রামগড়স্থ ৪৩ বিজিবির অধিনায়ক ও জোন কমান্ডার লে. কর্নেল মো. তারিকুল ইসলাম।

রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম সাজেদুল ইসলাম আরও বলেন, সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামের রাস্তা ঘাট নির্মাণসহ এখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য মানবিক কল্যাণ, আত্মকর্মসংস্থান প্রভৃতি ক্ষেত্রে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, একটি আঞ্চলিক উপজাতীয় সন্ত্রাসী  গ্রুপ খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত ক্যাম্পের জায়গাসহ সরকারি খাস ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি দখল করে বৌদ্ধ মন্দির, কেয়াং ইত্যাদি উপাসনালয় ও স্কুল ঘর নির্মাণ করছে। ওই গোষ্ঠী রাতের আধাঁরে এসব উপাসনালয় ভেঙ্গে দিয়ে সেনাবাহিনীর ওপর মিথ্যা দোষ চাপিয়ে  ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার অপচেষ্টা চালায়। পাবর্ত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী অসংখ্য কেয়াং, মন্দির, গীর্জা, মসজিদ নির্মাণ করেছে। সেনাবাহিনী গড়তে জানে, ভাঙ্গতে জানে না।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্য উপস্থিত ছিলেন ৪৩ বিজিবির উপ অধিনায়ক মেজর মো. হুমায়ুন কবির, রামগড় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদ, রামগড় উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম ভুইয়া, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম মজুমদার, মনিন্দ্র ত্রিপুরা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তারেক মো. আব্দুল হান্নান, পৌরসভার প্যানেল মেয়র আহসান উল্লাহ প্রমূখ।

বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ ফারুকুর রহমান, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মফিজুর রহমান, সাংবাদিক নিজাম উদ্দিন লাভলু, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শাহ আলম।

Exit mobile version