parbattanews

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে সরকারের বর্তমান নীতিমালা একটি সাহসী পদক্ষেপ- সমঅধিকার আন্দোলন

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

গত শুক্রবার (২০ ফেব্রুয়ারী) রাঙামাটিতে গৌতম দেওয়ান, মানিক লাল দেওয়ান, নিরূপা দেওয়ান চাকমারা সংবাদ সম্মেলন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাহসী পদক্ষেপকে কটাক্ষ করে যে বক্তব্য রেখেছে, তার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমঅধিকার আন্দোলন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, অতীতে বিভিন্ন সময়ে গৌতম ও মানিক বাবু রা সরকারের হালুয়া রুটি খেয়েছে এবং প্রকাশ্যে সন্তুলারমার সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরোধীতা করেছিল। কিন্তু বাস্তবে তাদের মুখোস খুলে পড়েছে। এরা আসলে যে অতীতে সন্তু লারমার গুপ্ত চর হিসেবে সরকারের মধ্যে থেকে অনেক গোপন তথ্য রাষ্ট্রদ্রোহী বর্বর হানাদার শান্তি বাহিনীর কাছে পাচার করে দিয়েছিল তা বুঝতে আর পার্বত্য বাসীদের বাকী নেই। তাছাড়া, নিরূপা দেওয়ান চাকমা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একজন অবৈতনিক সদস্য হয়েও তিনি প্রকাশে উগ্র সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রদ্রোহী উপজাতীয় নেতাদের সাথে দহরম মহরম করে যাচ্ছেন তা খুবই নিন্দনিয়। নিরূপা দেওয়ানকে তার বাঙালি বিদ্বেষী পক্ষপাতমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য মানবাধিকার কমিশন থেকে বহিস্কারের দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার ঢাকায় সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে সমঅধিকার আন্দোলনের মহাসচিব এবং রাঙামাটি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার (এফএফ ২ নং সেক্টর) মনিরুজ্জামান মনির এবং কেন্দ্রীয় নেতা জনাব জাহাঙ্গীর কামাল, হাজী মোঃ ইউনুস কমিশনার, মুক্তিযোদ্ধা সেলিম চৌধুরী, আব্দুল কুদ্দুস চেয়ারম্যান, মোস্তাক আহম্মেদ চৌধুরী ও সমঅধিকার নারী আন্দোলন নেত্রী শায়লা জেসমিন হেলেন ও রওশনারা সুরমা উপরোক্ত দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেন, ত্রিশ লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর এর মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতার লাল সূর্যটিকে ছিনিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু আজ পার্বত্য চট্টগ্রামকে যারা জুম্মল্যান্ড নামে স্বাধীন করতে চায়, যারা নিজেদেরকে বাংলাদেশী কিংবা বাঙালি জাতি হিসেবে স্বীকার করে না বরং নিজেদেরকে জুম্ম জাতি বলে দাবি করে থাকে, যারা জুম্ম কণ্ঠ, জুম্ম নিউজ বুলেটিন, জুম্মল্যান্ড লিবারেশান আর্মি (শান্তি বাহিনী) বলে প্রচার করতে বেশি তৃপ্তি বোধ করে, তাদের কাছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপরোক্ত সিদ্ধান্ত মোটেও ভাল লাগবে না বলেই জাতি মনে করে।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশীদের প্রবেশের বিষয়ে যে নীতিমালা ঘোষণা করেছেন, তা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে। তবে সরকার যদি দেশপ্রেমিক উপজাতীয় নেতাদের সাথে দেশি-বিদেশি কিংবা এনজিওগুলোর সাথে বৈঠকে কোন বাধা না দেন, তাহলে গৌতম বাবুদের আপত্তি কোথায়? নিখিল কুমার চাকমা কিংবা দিপঙ্কর তালুকদারদের মত দেশপ্রেমিক নেতাদের সাথে বৈঠকের ব্যাপারে বিদেশিদের কোন নজরদারী রাখা হয় না। তবে যারা সশস্ত্র আন্দোলন করছে, তাদের নেতাদের সাথে দেশি-বিদেশি কারোই বৈঠক করা অত্যান্ত নিন্দনীয় এবং বাংলাদেশ স্বাধীন স্বাবভৌম রাষ্ট্র হিসেবে এসব বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ ও মনিটরিং করার ক্ষমতা রাখে।

এ বিষয়ে যারা প্রতিবাদ করছেন তারা পার্বত্য চট্টগ্রামে জুম্ম জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করার জন্য দালালি করছেন। বাংলাদেশের অখণ্ডতা, স্বাধীনতা ও স্বাবভৌমত্ব তারা চায় না, শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি করা আসলে একটি অজুহাত মাত্র। এ বিষয়ে দেশবাসীকে সদা সর্তক থাকার জন্য সমঅধিকার আন্দোলন আকুল আবেদন জানিয়েছেন।

Exit mobile version