parbattanews

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন: পার্বত্য নাগরিক পরিষদের প্রতিবাদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন ২০০১’-এর ৬টি ধারা সংশোধনের খসড়া নীতিগতভাবে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করার প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য নাগরিক পরিষদ ও বাঙালী ছাত্র পরিষদ।

মিডিয়ায় পাঠানো এক যৌথ্য বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রীসভার এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে পার্বত্য নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়া বলেন, এর ফলেন ভূমির মালিকানা হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে যাবে পার্বত্যাঞ্চলে বসবাসরত লাখ লাখ বাঙালী পরিবার। পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙালিদের উচ্ছেদ করার পরিকল্পনারই অংশ হিসেবেই পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের এ সংশোধনী আদায় করেছে জেএসএস। যেটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

আলকাছ আল মামুন আরো বলেন, এই সংশোধনী কার্যকর হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত বাঙালীদের জীবনে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তা কল্পনারও অতীত। এর ফলে পার্বত্য ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন হয়ে পড়বে সন্তু লারমার ইচ্ছা বাস্তবায়নের হাতিয়ার। সরকারের দেয়া ভূমি বন্দোবস্ত ও মালিকানা অবৈধ বলে তা বাতিল করার ক্ষমতাও রয়েছে এ কমিশনের।

বিজ্ঞপ্তিতে বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাব্বির আহমেদ বলেন, এই আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের এক দশমাংশ আয়তনের পার্বত্য চট্টগ্রামের ভূমির উপর সন্তু লারমার একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে। আর পার্বত্যাঞ্চলে বাঙালিদের অস্তিত্বে বিশ্বাসহীন সন্তুলারমার এককরাজত্বে বাঙালীরা তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ হবে। তিনি বলেন আমাদের জীবন যাবে তবু এই আইন বাস্তবায় করতে দিবো না।

মন্ত্রীসভার এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছেন, বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি আরো বলেন, তিন পার্বত্য জেলার বেশির ভাগ জনগোষ্ঠী বাঙালীদের পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বের করার জন্য এটি একটি বড় ধরণের ষড়যন্ত্র। এই আইনের মধ্যদিয়ে পার্বত্য এলাকা বাঙালী মুক্ত করার সন্তু লারমার যে দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা তা সহজ হয়ে গেলো।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল বাঙালীরা এই আইন পুনর্বিবেচনার জন্য সরকারের কাছে তিনি আহ্বান জানান। অন্যথায় কঠিন আন্দোলনের মাধ্যমে এই আইন বাতিল করতে সরকারকে বাধ্য করা হবে বলেও এই ছাত্র নেতা হুসিয়ারি জানান।

Exit mobile version