parbattanews

পার্বত্য বাঙালীদের ঐক্য প্রক্রিয়ায় কোনো প্রকার ভূমিকা রাখা আমার এখতিয়ার বহির্ভূত- মেজর জে. (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহীম

ইব্রাহীম

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মে. জে. (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইব্রাহীম বীর প্রতীকের ছবি দিয়ে পার্বত্য বাঙালীদের কোনো কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে যে, তিনি পার্বত্য বাঙালীদের ঐক্য প্রক্রিয়ায় নানাভাবে ভূমিকা রেখেছে। এর প্রেক্ষিতে জে. (অব.) ইব্রাহীম পার্বত্যনিউজকে টেলিফোন করে একটি বিবৃতি দেন। বিবৃতিটি নিম্নরূপ:

“পার্বত্য চট্টগ্রামে চাকরি করার সুবাদে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে গ্রন্থ লেখার সুবাদে এবং সর্বোপরি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আমি পিএইচডি করছি(যদিও একটু বিলম্ব হয়েছে), সেই সুবাদে বহু লোকের সঙ্গে আমার যোগাযোগ আছে। কিছু সংখ্যক পাহাড়ী ভাইয়েরা যোগাযোগ করেন এবং অনেক সংখ্যক বাঙালী ভাইয়েরা যোগাযোগ করেন।যোগাযোগের ফলশ্রুতিতে সকলেই সুখ দুঃখের কথা বলতে চেষ্টা করেন।

শোনা সহজ, এর থেকে বেশী কিছু আশা করাও ভুল এবং আমিও কল্পনা করি না।সম্প্রতি ভুমি কমিশন আইন-২০০১ সংশোধনের প্রেক্ষিতে এর আইনী প্রভাব বাঙালীদের উপর কী পড়বে বা পড়বে না এ নিয়ে অনেকের মনে সংশয় ছিলো।আমি নিজেও সংশয়ে ছিলাম বা আছি।

এই মর্মে আলোচনা করার জন্য কিছুসংখ্যক বাঙালী ভাইয়েরা আসেন।যারা অনেকেই পূর্ব পরিচিত এবং কিছু একদম নতুন।আলোচনা হয়েছে এবং আলোচনার প্রেক্ষাপটে তারা বলেন, তাদের মধ্যে ব্যাপক মতানৈক্য আছে। আমি উৎসাহিত করেছি, আপনার যা কিছু করেন শান্তিপূর্ণভাবে করবেন, ঐকমত্যের ভিত্তিতে করবেন।ঐক্য প্রক্রিয়ায় আমাকে সম্পৃক্ত করা ভুল, ঐক্য প্রক্রিয়ায় কোনো ভূমিকা নেয়া আমার এখতিয়ার বহির্ভূত।এবং রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবানের কোনো প্রক্রিয়ায় আমার জড়িত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।আগ্রহও নাই, সম্ভবও না।

আমি কোনো প্রকার আন্দোলন নামক শব্দের সাথে জড়িত নই। চিন্তা, ভাবনা, কল্পনা কোনো কিছুতেই না।আমি ঢাকা মহানগরে এবং বাংলাদেশের অন্যত্র আমার রাজনৈতিক দল এবং জোটের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি।

তাঁরা আমার যোগাযোগ রাখার নিশ্চয়তা চেয়ে অনুরোধ করেন । আমি বলেছি, অবশ্যই কিন্তু সকলের সাথে বিস্তারিত যোগাযোগ রাখা সম্ভব নয়, সংগঠনের নেতারাই মেহেরবানি করে যোগাযোগ করবেন শুধু । “

Exit mobile version