স্টাফ রিপোর্টার:
পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালীদের অধিকার আদায়ে আন্দোলনরত সংগঠন পার্বত্য বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি এবং ছাত্র পরিষদের অভিভাবক সংগঠন পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যৌথ উদ্যোগে শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানী পল্টনে মহান স্বাধীনতা দিবসের উপর আলোচনা সভা পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আলকাছ আল মামুন ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে আরো উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক, সিএইচটি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও পার্বত্য নিউজের প্রধান উপদেষ্টা মেহেদী হাসান পলাশ, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় মহাসচিব এড,এয়াকুব আলী চৌধুরী, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. রাজু, পার্বত্য গণপরিষদের মহাসচিব কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, অধ্যক্ষ আবু তাহের, আবদুল হামিদ রানা, কামাল হোসেন ভুইয়া, ফজলুল হক, ইঞ্জি. মাকসুদুর রহমান, ইঞ্জি. আলী নুর, বাঙালী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাব্বির আহমেদ, ঢাকা মহানগর কমিটির সভাপতি সাহাদাত হোসেন সাকিব, সেক্রেটারী এডভোকেট সারোয়ার, ছাত্রনেতা মো. মাসুম রানা,যুবনেতা সিরাজুল ইসলাম, পিএনপি নেতা মো: দেলোয়ার হোসেন বিএসসি প্রমুখ ।
ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাব্বির আহাম্মদের পরিচালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে আলকাছ আল মামুন ভুইয়া বলেন, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস আমাদের জন্য একটি স্বরণীয় দিন। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধ করে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, কিন্তু অত্যন্ত দুখের বিষয় হল প্রকৃতপক্ষে আমরা আজও স্বাধীন হতে পারিনি।পার্বত্য চট্রগ্রামে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি দেশকে বিভক্ত করার জন্য প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। জুম্মল্যান্ড গঠন করার জন্য তারা উঠে পড়ে লেগেছে। আমাদেরকে আরো সজাগ ও সচেতন হতে হবে, স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী হিসাবে কাজ করতে হবে।অন্যথায় আমাদের স্বাধীনতা হুমকির মুখ পড়বে।
আলোচনায় সিএইচটি রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও সিনিয়র সাংবাদিক মেহেদী হাসান পলাশ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা করতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় আজ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অখণ্ডতা হুমকির মুখে। দেশী বিদেশী একটি মহল পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন রাষ্ট্র করার ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রকারীরা অস্ত্রের মুখে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাঙালী ও নিরীহ পাহাড়ীদের জিম্মী করে ফায়দা হাসিল করছে। দেশের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষায় নিরীহ পাহাড়ীদের আস্থা অর্জন করতে হবে এবং তাদের সাথে নিয়ে পার্বত্য বাঙালীদের সতর্ক থাকতে হবে।