parbattanews

পার্বত্য মেলা শুরু হলো রাজধানীতে

স্টাফ রিপোর্টার:

রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যদিয়ে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মাঠে শুরু হলো ৫ দিনব্যাপী পার্বত্য মেলা। পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু প্রমুখ।

পাহাড়ি খাদ্য, ফলমূল, পোশাক নিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছে পাহাড়ি অঞ্চলের অধিবাসীরা অংশ নিয়েছেন এই মেলায়। ব্যতিক্রমী ও বৈচিত্র্যময় এসব পণ্য ও খাদ্য ক্রয়ে এক স্টল থেকে আরেক স্টলে ঘুরে বেড়াচ্ছেন রাজধানীর বাসিন্দারা। একদিকে চলছে ক্রয়-বিক্রয়, অন্যদিকে পানিতে ভাসমান নন্দনমঞ্চ থেকে ভেসে আসছে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানসহ তিন পার্বত্য জেলার সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। কেউ নাচের মুদ্রায় দোলাচ্ছেন শিল্পকলায় আগতদের হৃদয় আবার কেউবা সুরের মূর্চ্ছনায় ঢেউ তুলছেন রাজধানীর শিল্পানুরাগীদের বুকের গহিনে।

উদ্বোধনী সন্ধ্যায় একাডেমির নন্দন মঞ্চের সাংস্কৃতিক পর্বে অংশ নেন বান্দরবানের শিল্পীরা। এতে যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন মারমা লোকশিল্পীরা। প্রদীপনৃত্য পরিবেশন করেন মারমা ছিমখেয়াক আক্কা। বোতলনৃত্য পরিবেশন করেন ত্রিপুরা কাথারক। খুমিগান পরিবেশন করেন সম্প্রীতি ও তঞ্চঙ্গ্যা নৃত্য।

মেলার স্টলগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে উপজাতিদের তৈরি থামি, শাল, ফুলদানি, গামছা, মণিপুরী শাড়ি, ফতুয়াসহ নানা পণ্যের পসরা। সব মিলিয়ে একাডেমির মাঠে সজ্জিত হয়েছে ৯২টি স্টল। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে মেলা প্রাঙ্গণ। আজ শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেবেন পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ির শিল্পীরা। ১১ ডিসেম্বর পর্বত দিবসে শেষ হবে পাঁচ দিনের এই মেলা।

জাতিসংঘ ঘোষিত ১১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক পর্বত দিবস উপলক্ষে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্বত দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে। এসএমএস, পোস্টার ও ফেস্টুনের মাধ্যমে দিবসটির তাৎপর্য সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা হবে। দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি, বিশ্ব খাদ্য সংস্থা, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন, আরণ্যক, ব্রাক, হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল, কারিতাস, পদক্ষেপ ও বাংলাদেশ অ্যাডভেঞ্চার ক্লাব সার্বিক সহযোগিতা করছে।

Exit mobile version