parbattanews

পার্বত্য শান্তিচুক্তির মাধ্যমে দীর্ঘ দুই যুগের ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধ হয়: পার্বত্য মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি:

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন,  প্রধানমন্ত্রী হাসিনার আন্তরিক ইচ্ছার কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক শান্তি চুক্তি সম্পাদন হয়েছে। আর এরই মাধ্যমে পার্বত্যঞ্চলের দীর্ঘ দুই যুগের যে ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত তা বন্ধ হয়।

মঙ্গলবার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট আয়োজিত পার্বত্য সঙ্গীতানুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর এই অকৃত্রিম ভালবাসার ফলশ্রুতিতে যে পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে তা বহির্বিশ্বে ব্যাপক প্রশংসা কুড়াতে সক্ষম হয়েছে। বিনা রক্ষপাতে এই বিশাল সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের জন্য জাতিসংঘ মাননীয় প্রদানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ইউনেস্কো শান্তি পূরস্কারে ভূষিত করার মাধ্যমে যুগান্তকারী এই চুক্তির প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন ব্যক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, আয়তনের দিক থেকে খুব একটা বড় না হলেও সংস্কৃতি বৈচিত্র্যের বিশাল ভাণ্ডারের দিক থেকে সমৃদ্ধ একটি দেশের নাম বাংলাদেশ। স্বতন্ত্র সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যমণ্ডিত ছোট বড় প্রায় ৫৭টি নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী তাদের স্ব স্ব গৌরবোজ্জ্বল ভাষা ও সংস্কৃতির আবহকে ধারণ করে এদেশে বসবাস করে আসছে। সমতল এলাকা বাদ দিলে দেশের এক দশমাংস এলাকা জুড়ে আমাদের যে পার্বত্য চট্টগ্রাম সেখানে ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আমাদের জাতীয় পরিচয়ের ক্ষেত্রে বহির্বিশ্বে অনেক মর্যাদা বয়ে আনে।

বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ঐতিহ্যবাহী বর্ণাঢ্য সংস্কৃতির সংরক্ষণ, উন্নয়ন, প্রসার ও প্রচারের লক্ষে বিগত ১৯৭৮ সালে রাঙ্গামাটিতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠিত হয়। কালের পরিক্রমায় তিন পার্বত্য জেলা ছাড়াও  কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, রাজশাহী এবং নেত্রকোনায় এ জাতীয় সমধর্মী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি এ সকল প্রতিষ্ঠানসমূহকে পরিচালনা করার জন্য বিগত ২০১০ সালে মহান জাতীয় সংসদে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন-২০১০ পাশ করা হয়। এ আইনের মাধ্যমে এ সকল প্রতিষ্ঠানসমূহের গুরুত্ব বৃদ্ধি ও ভিত্তি মজবুত হয়েছে বলা যায়।  ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটসমূহ ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির বিকাশ ও প্রসার এবং জাতীয় সংস্কৃতির মূল স্রোতধারার সহিত সম্পৃক্ত করার লক্ষে নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।  তারই ধারাবাহিকতায়  রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট কর্তৃক বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর মঞ্চে আজকের এই পার্বত্য সঙ্গীতানুষ্ঠান এর আয়োজন।

এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ এবং অনুষ্ঠানের সকল শিল্পী, যন্ত্রী ও কলাকুশলীকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।

Exit mobile version